আজ : ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

কেউ বেকার থাকবে না,১০০ শিল্পাঞ্চলে সোয়া কোটি কর্মসংস্থান

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যে ১০০টি শিল্পাঞ্চল করছি তাতে সোয়া কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ফলে কোনো লোক বেকার থাকবে না, বেকার থাকার কথা না।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করব। আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে উন্নয়ন বৈষম্য কমানো। গ্রামের মানুষ যেন শহরের সুবিধা পায় সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আজ (শুক্রবার) বিকেলে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিকেল ৫টায় তার সরকারি বাস ভবন গণভবনে এই বৈঠক শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কার্যনির্বাহী কমিটির অধিকাংশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের অর্থনীতি যথেষ্ট মজবুত। এবার প্রবৃদ্ধি ৮ ভাগের বেশি হবে। উন্নয়নের দিক থেকে আমরা গ্রামকে প্রাধান্য দিয়েছি। গ্রাম এবং শহরের বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ নিয়েছি। গ্রামের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, লেট্রিন ছাড়া থাকবে না, হতদরিদ্র থাকবে না। এনমকি কোনো ভিক্ষুকও থাকবে না।

তিনি বলেন, গ্রামের যারা গরিব, তাদের ছেলে-মেয়েদের আমরা শিক্ষার জন্য বৃত্তি, উপ-বৃত্তি দিচ্ছি। বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। দুপুরে স্কুলে টিফিনের ব্যবস্থা করেছি। মায়েদের মোবাইল ফোনে বৃত্তির টাকা যায়। গরিব মানুষের ছেলে-মেয়েরা যেন লেখাপড়া করে সুশিক্ষিত হতে পারে আমরা সে ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরও বলেন, গরিব মানুষ যাতে গ্রামেই চিকিৎসা সেবা পায় সে জন্য আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মায়েদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। স্বামী ব্যস্ত থাকেন, কখন স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাবেন তার ভরসা না করে এখন যে কোনো নারী হেঁটে গিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। বিনা পয়সায় ওষুধ নিয়ে আসছে। এ দেশের মানুষ অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান সবই পাবে। একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না- আমরা সেই ব্যবস্থা করব।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনের জীবনযাপন প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তার (তারেক) রাজকীয় জীবনযাপনের টাকা আসে কোত্থেকে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশবিরোধী রাজনীতি করছেন। সে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। বছরের পর বছর লন্ডনে থেকে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

তারেক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘তারেক লন্ডনে রাজকীয় জীপনযাপন করছেন। তার এ রাজকীয় জীবনযাপনের অর্থ আসে কোত্থেকে? বিএনপি ক্ষমতায় থেকে যে লুটতরাজ করেছে, সেই অর্থ থেকেই তারেক লন্ডনে উচ্চবিলাসী জীবনযাপন করছেন।’

বিএনপির দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেই ঢাকার খাল-জলাশয়গুলো বেদখল হয়ে গেছে। বনানী লেক দখল করে বিএনপির সময়ে বরাদ্দ দেয়া হয়। গুলশান লেক আজ অর্ধেক হয়ে গেছে। জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা একের পর এক জলাধার ধ্বংস করেছে। আর আমরা ক্ষমতায় এসে দখল হয়ে যাওয়া জলাধার উদ্ধার করছি। আমরা রাজধানীর রূপ বদলে দিয়েছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.