জুয়েল খন্দকার দিপু : বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৮ নং ইউনিয়নের পূর্ব নলুয়া গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডের বাঁশের স্যাকোর বেহাল অবস্থা ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, স্যাকোটি বৃষ্টি পাতের কারনে বড় বড় ঝুঁকি সৃষ্টি হয় । ভারি বৃুস্টপাতের সময় পানি বন্ধী হয়ে শিশু ও বয়ষ্কদের জন্য ঝুঁকি পূর্ন হয়ে পরে স্যাকোটি । ফলে সাভাবিক ভাবে চলে ফেরার আর কোন উপায় থাকে না বর্ষা কালে । বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। স্যাকোটি দিয়ে প্রতিদিন পূর্ব নলুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রসা ,মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ , ব্যাংক, কিন্ডার গার্ডেনের শিক্ষর্থীরা ও গ্রামের হাজার হাজার লোক চলাচল করে ।
আচর্য বিষয় হচ্ছে পূর্ব পাড়া এলাকায় অবস্থিত কমিউনিটিক হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য যেতে হলে রোগীদের ঝুকি নিয়ে কাদাযুক্ত অবস্থায় স্যাকো দিয়ে পাড়ি দিতে হয়। জরুরি ভাবে চিকিৎসা সেবা নিতে কমিউনিটিক ক্লিনিকে যেতে পারে না রোগি ও তার স্বজনরা ।
৭ ওয়ার্ডের বাসিন্দা আজিজ হাওলাদার, গফুর শরীফ, শহিদুল ইসলাম মৃধা জানায় ৪০ বছরের পুরনো স্যাকোটি মেরামত করা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: নূরুল ইসলাম মৃধা বলেন, নির্বাচন এলেই জন প্রতিনিধিরা এ স্যাকোটি ব্রীজ করার আস্বাশ দেয় । কিন্তুু নির্বাচনের পর আর কেউ এর খোজ রাখেন না।
এলাকার বাসীর ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, জন প্রতিনিধি আসে জনপ্রতিনিধি যায় কিন্তু এ স্যাকোটি মেরামত করা হয় না । বর্ষা মৌসুম এলেই প্রতি বৎসর স্যাকোটি দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায় । পানি ওঠে হাটু সমান এখান থেকে পারাপার হতে পারেনা সাধারন জনগন। প্রতি বৎসর বর্ষার মৌসুমি স্যাকোটির অবস্থা এতোই খারাপ হয় যে এই দুই তিন মাস স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা রিতিমত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না। জন প্রতিনিধি বদলায় কিন্তুু বদলায় না আমাদের এলাকার উন্নয়নের চিত্র । জন দূর্ভোগের ফলে এলাকার চাষীরা উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে না পারায় লোসকানে আছে তারা । এছাড়া গভবতি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কিংবা আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস সদস্য বা কোন ব্যাক্তি উদ্ধার করতে পারবেনা । কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভাব হয় না।
এ ব্যাপারে নলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ খানের কাছে জানতে চাইলে, একাদিক বার ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে স্যাকোটি মাপা হয়েছে । টেন্ডার আসে না বিষয়টি বাকেরগঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলিকে অবগত করা হয়েছে ।
দেশের সংবাদ/জে. এইচ