স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,দেশের সংবাদ , সংসদ থেকে : জঙ্গিদের মদদদাতা, পরিকল্পনাকারী, অর্থায়নকারী ও প্রশিক্ষনদাতাদের খুঁজে বের করা কঠিন হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘গুলশানে জঙ্গি হামলার বিষয়ে তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে কয়কজনকে শনাক্ত ও ধরতে সক্ষম হয়েছি। তাছাড়া মিডিয়ায় কিছু ছবি প্রচার করা হচ্ছে এদের শনাক্ত করা হয়েছে, আরো কাউকে শনাক্ত করা গেলে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানালে যারা এর সাথে জড়িত তাদের ধরা যাবে।’
জঙ্গিবাদে পর্দার আড়ালে যারা এর মদদদাতা, পরিকল্পনাকারী, অর্থায়নকারী ও প্রশিক্ষণদাতা, তাদেরও বের করতে হবে বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের দেশের হোক, বিদেশের হোক, তাদের শনাক্ত করতে হবে। যেহেতু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর সমর্থন দিয়েছে সেহেতু তাদের খুঁজে বের করা কঠিন হবে না। এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
বুধবার (২০ জুলাই) জাতীয় সংসদে গোলাম দস্তগীর গাজীর (নারায়ণগঞ্জ-১) সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এরআগে বিকেল সাড়ে ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ২০১৫ সালে বাস-রেলে আগুন, মানুষ পুড়িয়ে মারার প্রায় তিনটি মাসে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে এবং ২০১৪ সালে নির্বাচন বন্ধের নামে যে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে সবগুলোই কিন্তু বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নের সম্মুখিন হয়েছে। তবে আমরা সুশাসান প্রতিষ্ঠা করেছি। যার ফলে আমরা অল্প সময়ে দ্রুত এ সমস্যা উত্তরণে সমর্থ হয়েছি। যারা বিদেশি বিনিয়োগকারী তাদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি হয়।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেছি। ইতোমধ্যে ৭৭টি অর্থনতিক অঞ্চলের স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে করে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগাকারীদের বাংলাদেশের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ ইতোমধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিনোয়াগকারীদের বিশেষ বিশেষ শিল্পখাতের জন্য ৫-১০ বছরের কর রেয়াত সুবিধা, শতভাগ রপ্তানিমুখি শিল্পে শূন্য শুল্কহারে যন্ত্রপাতি আমদানি ও বন্ড সুবিধার আওতায় কাঁচামাল আমদানির সুবিধা, দ্বৈত কর রেয়াত সুবিধা, ত্বরান্বিত অবচয় সুবিধা, রয়্যালিটি, ক্যাটাগরি সহায়তা, কারিগরি প্রজ্ঞান ফি প্রত্যাবর্তন সুবিধা, ইউরোপসহ অধিকাংশ উন্নত দেশে ডিউটি ও কোটা ফ্রি প্রবেশে সুবিধাপ্রাপ্ত, শতভাগ বিদেশি মালিকানা সুবিধা, শতভাগ মুলধন ও মুনাফা সুবিধা, বিদেশি কর্মীদের কর্মানুমতি, ইউডি, আইআরসি, ইআরসি এবং বন্ড নবায়ন সুবিধা দেয়া হচ্ছে।’
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার সবসময় যথাসম্ভব কাজ করে যাচ্ছে এবং এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া বলেও জানান তিনি।