আজ : ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাশরাফির ১৫ বছর

২০০১ সালের ৮ নভেম্বর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলে অভিষেক হল সদ্য ১৮ পার করা এক তরুণের। জাতীয় দলে আসার আগেই যাকে নিয়ে হইচই পড়ে যায়। সেই ছেলেটি মাশরাফি মুর্তজা। এখন বাংলাদেশের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের অধিনায়ক। আজ ৮ নভেম্বর ২০১৬। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে মাশরাফির আন্তর্জাতিক পথচলা।

ক্যারিয়ারে এত বেশি হোঁচট খেয়েছেন যে, এত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থাকা তাই মাশরাফির কাছে অবিশ্বাস্য লাগছে। মাশরাফি বলেন, ‘এত বছর পার করে ফেললাম। অনেক ভালো লাগছে। কিন্তু কি করতে পেরেছি এটা ভেবে নয়, বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ১৫ বছর থাকতে পেরেছি, সেটাই আমার কাছে অনেক বড়।’

ক্যারিয়ারের প্রথম ইনিংসেই করেছিলেন ৩২ ওভার। পরের ইনিংস ২৮।
মাশরাফির যে ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল ওই ম্যাচের কেউই এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই। একমাত্র মোহাম্মদ আশরাফুল ছাড়া। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি ফিরতে পারবেন এখন তা অনিশ্চিত। মাশরাফির অভিষেক ম্যাচে তার সঙ্গে খেলেছিলেন তাদের কেউ বোর্ডের কর্মকর্তা, কেউ আম্পায়ার আবার কেউবা কোচ। এখনও দিব্যি খেলে যাচ্ছেন মাশরাফি।

মাশরাফির আগে আকরাম খানের ক্যারিয়ার ১৪ বছর ১৮৭ দিনের। আরেক সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বয়স ১৪ বছর ৪৪ দিন। মিনহাজুল আবেদীনের ১৩ বছর ৬১ দিন। তাদের সবার সঙ্গেই খেলেছেন মাশরাফি।

টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে মাশরাফির অভিষেক হলেও ২০০৯ সালে সর্বশেষ বড় পরিসরে ম্যাচ খেলেছেন তিনি। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন মাশরাফির টেস্ট হয়তো অলিখিতভাবে শেষ। ধারণা করা হচ্ছে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে পারেন তিনি। মাশরাফি বলেন, ‘ক্রিকেট যদি উপভোগ করতে না পারতাম, আনন্দ না পেতাম, তাহলে এভাবে খেলতে পারতাম না। আমার যে সমস্যগুলো ছিল তাতে সবাই অনেক সাহায্য করেছেন। সিনিয়ররা সাহায্য করেছেন। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।’ মাশরাফির ধারণা, ইনজুরি না থাকলে ক্যারিয়ারটা আরও বেশি উজ্জ্বল হতো।

টেস্ট অভিষেক হওয়ার পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একই সিরিজে ওয়ানডে অভিষেক হয় মাশরাফির। টি ২০ ক্রিকেটে মাশরাফির অভিষেক ২০০৬ সালে সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এখন পর্যন্ত ৩৬ টেস্ট খেলে নিয়েছেন ৭৮ উইকেট। ১৬৬ ওয়ানডে ম্যাচে ৩০.০৭ গড়ে নিয়েছেন ২১৬ উইকেট। ওয়ানডে ক্রিকেটে তারই এখন সবচেয়ে বেশি উইকেট। তবে মাশরাফি মনে করেন, এখন যারা বাংলাদেশ দলে আছেন তাদের অনেকেরই ক্যারিয়ারে ১৯-২০ বছর হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.