মো ঃ বশির আহম্মেদ ,বাকেরগঞ্জ (বরিশাল ) সংবাদদাতা ঃ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৯ নং কলসকাঠি ইউপির ঢাপরকাঠী গ্রামের মৃত আজাহার মোল্লার পুত্র রহিম মোল্লা ও তার আপন ভাই আঃ গফুর মোল্লার জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। তারই জের ধরে বাকেরগঞ্জ থানায় গত ৪ ডিসেম্বর রহিম মোল্লা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পরে বাকেরগঞ্জ থানার এ এস আই নজরুল ইসলাম ঘটনার তদন্তে যান তদন্ত শেষে ।পুলিশ চলে আসার পরে সন্ত্রাসীরা দলবদ্ধভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে ৫ ডিসেম্বর দুপুরে আঃ গফুর মোল্লা ও তার ৪ পুত্র মিজান মোল্লা, মোঃ আল – আমিন মোল্লা, মোঃ জুয়েল মোল্লা, মোঃ রুহুল আমিন মোল্লা সহ মোঃ আনিচ মোল্লার পুত্র মোঃ সফিকুল ইসলাম, রুস্তুম আলী মোল্লার পুত্র মোঃ নুরুল ইসলাম মোল্লা মৃত আজাহার মোল্লার পুত্র জলিল মোল্লা, ও অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন সন্ত্রাসীরা ধারালো দা, রামদা, ও লোহার পাইপ নিয়ে খুন কারার উদ্দেশ্য রহিম মোল্লার বাড়িতে এসে হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায়ে রহিম মোল্লার ঘারে রড দিয়ে আঘাত করলে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন, সুযোগে সন্ত্রাসীরা জমি কেনার জন্য স্ট্রীলের শোকেযের মধ্যে রক্ষিত ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও তার স্ত্রী মোর্সেদার গলায় থাকা স্বর্নের চেইন, কানে পরিহীত স্বর্নের ঝুমকা জোর পূর্বোক ছিনিয়ে নেয়। তাহাদের ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসিলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় । স্থানীয়রা আহাতদের চিকিৎসার জন্য বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।চিকিৎসায় সামান্য সুস্থ হয়ে রহিম মোল্লা বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান আঃ গফুর মোল্লার ছেলেরা দলবদ্ধভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক বিক্রির সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে এছাড়াও মাদক সেবন করে বিভিন্ন সময়ে সম্মানিত ব্যক্তিদের অপমান অপদস্ত করেছেন তাদের ভয়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ। এদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) আবুল কালাম জানান, হামলা ও লুট পাটের ঘটনা আমাকে মুঠোফোনে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে কলসকাঠী ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ ঘটনাস্থলেই পাঠাই। এ বিষয়ে আর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।