নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বিএনপি’র সংলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। জমির উদ্দিন বলেন, প্রেসিডেন্টের কাছে বিএনপি বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে তা শুনেছেন। সুপারিশ বাস্তবায়নে চেষ্টা করবেন বলে কথা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
সার্চ কমিটির গঠনে বিএনপি কোনো নাম প্রস্তাব করেছে কিনা জানতে চাইলে জমির উদ্দিন বলেন, তা বলার সময় এখনও আসেনি। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, প্রয়োজনে তিনি আবার বিএনপি’কে ডাকবেন। তবে ইসি গঠন ছাড়া প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা হয়নি বলে জানান এই বিএনপি নেতা। পরে নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিস্তারিত বলবেন বলে জানান তিনি।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি’র প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে পৌঁছায়। খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, আব্দুল মঈন খান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে প্রথম পর্যায়ে বিএনপিসহ ৫টি দলকে সংলাপের জন্য বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ। ২০ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টি, ২১ ডিসেম্বর এলডিপি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও ২২ ডিসেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদকে ডাকা হয়েছে বঙ্গভবনে। বাকি নিবন্ধিত দলগুলোকেও পর্যায়ক্রমে ডাকা হবে।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষে ১৩ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিভিন্ন সময় জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী ও নিবন্ধিত রাজনৈতিকগুলোর সঙ্গে আলোচনারও আহ্বান জানান তিনি।
২০১২ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান বাছাই কমিটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে নিয়োগ দেন। সে সময় তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আগামী কমিশন ২০১৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করবে।