এবারের ঈদে বিশেষ সতর্কতা গ্রহণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ বিভিন্ন ঈদগাহ ময়দান ও মসজিদ ঘিরে নিরাপত্তা বলয়ে আনা হয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন।
গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া, রাজধানীর কল্যাণপুর, রূপনগর ও আজিমপুরে বিশেষ অভিযানের পর এবারের ঈদে বিশেষ এই সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও।
পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, ঈদের বিশেষ নিরাপত্তায় তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যেকোনও ধরনের নাশকতা ও সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরগুলো ছাড়াও জেলা শহর ও সড়ক-মহাসড়কগুলোতে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহন সবকিছুই তল্লাশি করা হবে।
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তায় পুলিশ ও র্যাবের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হচ্ছে গোটা এলাকা।
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় এবার নতুন করে ওই ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। ঈদুল আজহার জামাতকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজিবির সদর দফতরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্ণেল জিল্লুল হক বলেন, ঈদ জামাতকে ঘিরে নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কেবল শোলাকিয়াতেই তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সিভিল প্রশাসনকে সহযোগিতায় সারা দেশেই বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শনে গিয়ে রবিবার র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেছেন, গত জুলাইয়ে গুলশানের হলি আর্টিজান ও ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়ায় ঈদ জামায়াতের পাশে জঙ্গি হামলার বিষয়টি মাথায় রেখেই এবার দেশজুড়ে বিশেষ সতর্কবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়া হামলাসহ সাম্প্রতিক ঘটনাবলী ও গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এবারের ঈদে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে।