যেখানে ক্ষুধার্তকে খাদ্য দেয়ার কথা, সেখানে খাদ্য না দিয়ে এমন নিষ্ঠুরতা। মাছ ও মুরগি কাটার পর ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট কুড়িয়ে নেয়ার সময় পারুল নামের এক পথশিশুকে (৮) ভাতের মাড়ে ঝলসে দিয়েছে হোটেল কর্মচারীরা।
সোমবার দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন পুলিশ নিয়ে শিশু নাজমুন্নাহার পারুলকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
একই সঙ্গে অভিযুক্ত প্রিন্স হোটেলের ম্যানেজার ও কর্মচারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিরাজপুর ইউনিয়নের মৃত সফি উল্যার ছেলে হোটেল ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহজাহান, কর্মচারী সেনবাগ উপজেলার দেবসিংহপুর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে জসিম উদ্দিন, সুবর্ণচর উপজেলার সেরাজুল হকের ছেলে দিদার, ইব্রাহিম খলিলের ছেলে সেহাগ এবং কবিরহাট উপজেলার কালামুন্সী বাজার এলাকার মো. আবদুর রহমানের ছেলে মো. আবদুল মতিন।
আহত শিশুর পরিবার জানায়, নাজমুন্নাহার পারুল প্রিন্স হোটেলের পেছন থেকে ফেলে দেয়া মাছের কাঁটা, মুরগির চামড়াসহ উচ্ছিষ্ট কুড়িয়ে নিচ্ছিল। এসময় হোটেলের কর্মচারীরা তাকে লক্ষ্য করে ভাতের গরম মাড় ছুঁড়ে মারে। এতে শিশু পারুলের পুরো শরীর ঝলসে যায়।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনকে অবগত করা হলে তিনি এসআই আবু ইউছুফকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশু পারুলকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ও কর্মচারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ও এসআই আবু ইউছুফ আহত শিশু পারুলের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেন।