আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

উত্তম-সুচিত্রা সম্পর্ক নিয়ে নতুন তথ্য!

পশ্চিমবঙ্গের অভিনয়শিল্পী উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন এই দুই নামেই জড়িয়ে রয়েছে এক আলাদা রোমান্টিকতা, নস্টালজিয়া। তবে শুধু উত্তম-সুচিত্রার অনস্ক্রিন জুটি নিয়ে উন্মাদনার পাশাপাশি তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েও বাঙালিদের মধ্যে একটা আলাদা কৌতুহল বা বলা ভালো রহস্য রয়েছে। কারো ধারণা উত্তম-সুচিত্রার মধ্যে গভীর প্রেম ছিল, কেউ বলেন উত্তম কুমার ‘রমার’ প্রেমে পাগল ছিল, উত্তম কুমার সুচিত্রাকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু সত্যিই কি তাই? সমসাময়িক অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এমন কথা মানতে নারাজ। তার কথায় বরং উত্তম সুচিত্রা একে অপরের অত্যন্ত কেয়ার করত, একে অপরের পরোয়া করত, কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না, কেউ কারোর প্রেমে পড়েনি। ইংরাজি দৈনিককে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
সম্প্রতি বাংলা টেলিভিশনে শুরু হয়ে নতুন ধারাবাহিক মহানায়ক। ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য নিয়ে নিজের চিন্তাধারা ব্যক্ত করতে গিয়ে সাবিত্রী বলেন, “খুব উৎসাহ নিয়ে ধারাবাহিক দেখতে বসেছিলাম। কিন্তু খুবই হতাশ হয়েছি।” কিন্তু কেন হতাশ হয়েছেন তিনি। সে কথা বলতে গিয়েই সাবিত্রী বলেন, আসলে চিত্রনাট্যতে যা দেখানো হয়েছে পুরোটাই কাল্পনিক কোনো বাস্তবিকতাই নেই। আর যা হয়েছে তার একটুও দেখানো হয়নি।
সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সাবিত্রী বলেন, কোনো জনপ্রিয় ব্যক্তিকে নিয়ে ছোটপর্দা বা বড়পর্দায় কাজ করতে গেলে ভালো করে রিসার্চ করা প্রয়োজন। তিনি, সুপ্রিয়াদেবী, মাধবী চট্টোপাধ্যায়ের মতো উত্তম-সুচিত্রার সমসাময়িক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছ থেকে অন্তত আসলটা জানার চেষ্টা করা উচিত ছিল পরিচালকের। কিন্তু ধারাবাহিকের পরিচালক অভিনেতা-অভিনেত্রী কেউই সে বিষয়ে মাথাই ঘামাননি। কিন্তু তা নিয়ে প্রতিবাদ করার কথা ভাবছেন না, কারণ বয়স হয়েছে, লড়াইয়ের শক্তি নেই। কিন্তু মন থেকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না।

ঠিক কোন কোন জায়গাগুলিতে ভুল ছিল বলে জানিয়েছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। প্রথম যে বিষয়টা সাবিত্রী জানিয়েছেন তা হলো উত্তম-সুচিত্রার সম্পর্ক। উত্তম-সুচিত্রার মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না বলেই মনে করেন সাবিত্রী। তার কথায়, সুচিত্রা সেন সবথেকে ভালবাসতেন নিজেকে। তারপরেই ছিল মেয়ে মুনমুনের প্রতি তাঁর অগাধ ভালবাসা। স্বামী দিবানাথ সেনের সঙ্গে প্রথম থেকে তার সম্পর্ক খারাপ ছিল না।
সাবিত্রীর কথায়, সুচিত্রা সেনকে বুঝতে পারাটাই একটা গোলকধাঁধা ছিল। কখনো কথা বলতেন, কখনো কথা বলতেন না, কখনো তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ আবার কখনো দেখে চিনতেও পারতেন না। উত্তমকুমার যখন বাড়ি ছেড়েছিলেন তখন নাকি সুচিত্রা সেন বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ রে উত্তম, সেই তো ঘর ছাড়লি সাবি কি দোষ করেছিল তাহলে, ও তো তোকে খুব ভালবাসত।’

সুচিত্রা সেনের সঙ্গে উত্তমকুমারের সম্পর্কের পাশাপাশি নিজের ও উত্তম কুমারের সম্পর্কের বিষয়ও খোলাখুলি বলেছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। তিনি নিজেই বলেছেন, ভালোবাসা যখন বুঝতে পেরেছিলেন তখন থেকেই ‘উত্তমদা’কে ভাসবেসেছেন তিনি। সে ভালোবাসা নিঃস্বার্থ ছিল সেকথা আজও মনে করেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.