স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল কীর্তনখোলা নদীর চরবাড়িয়া ইউনিয়ন অংশের ও আশ-পাশ এলাকায় বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে আ’লীগ নেতা সৈয়দ আনিচের গুনধর পুত্র আবেদ ও তার ব্যবসায়ী পার্টনার বাচ্চু গ্যাং। করোনা ভাইরাসের কারনে সবাই ঘর মুখী হওয়ার সুযোগে রাত ভর নির্বিঘেœ লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে চলছে। স্থানীয় নেতাদের অনুরোধ করেও ফেরানো সম্ভব হয়নি আবেদ-বাচ্চু বাহিনীর অবৈধ বালু উত্তোলন। যার দরুন,সদর উপজেলার ৩নং চরবাড়িয়া গ্রাম’র বোর্ড স্কুল’ লাগোয়া এলাকা দেবে যাওয়া ও ফের বাড়ি ঘর ভাঙ্গনে যাওয়ার ভয়ে বালু ডাকাত আখ্যায়িত করে আবেদ-বাচ্চু বাহিনীর ওই এলাকার সাধারণ মানুষ করোনা ভাইরাসের নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে বাড়িঘর হারানোর ভয়ে মানব-বন্ধন’র মাধ্যমে প্রতিরোধের চেষ্টা করছে।
গত মঙ্গলবার (৩১-০৩-২০২০ইং) বিকেল ৫টার দিকে কীর্তনখোলা নদীর চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বোর্ড স্কুল সংলগ্ন নদীর পাড়ে মানব-বন্ধন করেছে গ্রামবাসী। সেখানে প্রায় ৩০০ মানুষের জনসমাগম হয়। ওই মানব-বন্ধনে অংশ নেয়া জিয়াউর রহমান,আব্দুল হক,মুরাদ নামের ভূক্তভোগি জানান, “বিভিন্ন সময়ে চরবাড়িয়া এলাকার মানুষ একাদিকবার কীর্তনখোলা নদীর ভাঙ্গনে পড়ে বাড়ি ঘর হারিয়েছে। আর ভাঙ্গনের প্রধান কারন হিসেবে ওই ভূক্তভোগিরা বলেন,অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারনে নদীর দুই ধার ভেঙ্গে যাচ্ছে। বর্তমানে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও সদর আসনের এমপি জাহিদ ফারুক শামিম’র প্রচেষ্টায় আমাদের গ্রাম রক্ষার্থে নদীর পাড়ে কোটি কোটি টাকার জিও ব্যাগ ফেলেছেন। কিন্তু করোনার আতংকে সাবাই ঘর থাকার সুযোগে আবেদ-বাচ্চুর নেতৃত্বে প্রতিদিন রাতে ৭/৮টি বলগেট বসিয়ে প্রতি ২৪ ঘন্টায় নদী থেকে দেড় থেকে ২ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে ।” একারনে যেকোন সময়ে নদীর পাড় বসতিঘরসহ দেবে যেতে পারে। গ্রামবাসী নিষেদ করে কিংবা চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি। তাই বালু ডাকাতদের রুখতে আমরা মানব বন্ধনে সমবেত হয়েছি। করোনা ভাইরাসের চেয়েও আমাদের কাছে নদী ভাঙ্গন বড় আতংক”। অভিযুক্ত আ’লীগ নেতার পুত্র আবেদ সাংবাদিকদের কাছে জানান,আগে বালু উঠাতাম এখন আর উঠাই না। এ বিষয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের সাংসদ কর্নেল (অ:) জাহিদ ফারুক শমিম ওই ভূক্তভোগি জনগনের উদ্দেশ্যে বলেন,শুধু মানব-বন্ধন নয়,যারা অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করবে তাদের গন ধোলাই দিয়ে পুলিশে দিন। বলগেট পুড়িয়ে দিন। সে যে দলের নেতাই হোক ভয় না করার আহবান করেন গ্রামবাসীর প্রতি।