আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

খালেদার আইনজীবী জেরার সুযোগ পেল

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদকে সুনির্দিষ্ট তিনটি প্রশ্নে জেরা করার সুযোগ পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

এ সংক্রান্ত দুটি রিভিশন আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার করা আপিল আবেদন ‍নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রাগীব রউফ চৌধুরী। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করার সুযোগ চেয়ে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলাম। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে তাকে জেরার অনুমতি দিয়েছেন। একইসঙ্গে জেরার পূর্বে তদন্ত কর্মকর্তা যেসব নথি থেকে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তার কপি আসামিপক্ষের আইনজীবীকে সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

অপরদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কর্মকর্তাকে সুনির্দিষ্ট তিনটি প্রশ্নে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জেরার অনুমতি পেয়েছেন।

শর্তগুলো হলো- প্রথমত: ট্রাস্ট আইনের ২৩ ধারা মোতাবেক ট্রাস্টি বোর্ডের কোনো সম্পত্তি অপব্যবহার হলে বোর্ড ট্রাস্টি দায়ী কিনা; দ্বিতীয়ত : হলফকারী হিসেবে আপনি হলফ করে কি বলেছেন এবং তৃতীয়ত : আপনাকে ২০০৫ সালে আপনাকে দুদক থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে? তারপর থেকে আপনি কিভাবে কার্যক্রম করে যাচ্ছেন?

এর আগে চলতি বছর ৩১ মে খালেদার রিভিশন আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন তিনি।

চলতি বছর ১৭ এপ্রিল এই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে নতুন করে জেরার আবেদন বিচারিক আদালতে নাকচ হয়। পরে সেই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দুটি রিভিশন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। যেখানে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার আবেদন করেন। এছাড়া আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আবেদন করা হয়।

সেই রিভিশন আবেদন দুটি গত ১৫ মে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ খারিজ করে দেন।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য চার আসামি হলেন তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব, বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়। বর্তমানে ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত আবু আহমেদ জমাদারের বিশেষ আদালতে মামলাটি বিচারের শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.