আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির শ্রদ্ধা

‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানান এবং ফাতেহা পাঠ করেন। এ সময় শহীদ জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতেও অংশ নেন খালেদা জিয়া। এদিন প্রয়াত রাষ্ট্রপতির মাজারে বিএনপি এবং তার অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

ঘটনাবহুল ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতা তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করে। দিনটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি।

সোমবার খালেদা জিয়ার পর পর্যায়ক্রমে জিয়ার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা বিএনপি, কেন্দ্রীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, মহিলা দল, জাসাস, ছাত্রদল, তাঁতী দল, মৎস্যজীবী দল, ড্যাব ছাড়াও বিএনপি সমর্থক বিভিন্ন সংগঠন। ২০ দলীয় জোটের শরিক লেবার পার্টিও জিয়ার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

সোমবার সকাল থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা শেরেবাংলা নগরে জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টার কিছুক্ষণ পর যখন খালেদা জিয়া শেরেবাংলা নগরে পৌঁছান, তখন লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে ওই এলাকা। দলীয় প্রধানের উপস্থিতিতে নেতাকর্মীরা নানা স্লোগান দেন। এ অবস্থায় ভিড় ঠেলে জিয়ার মাজার পর্যন্ত যেতে খালেদা জিয়ার প্রায় আধা ঘণ্টা সময় লেগে যায়। মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় খালেদা জিয়ার পাশে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, রুহুল আলম চৌধুরী, আবদুল মান্নান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এবং কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, কাজী আসাদুজ্জামান আসাদ,

নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু, খন্দকার কাজী আশফাক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবদুস সালাম আজাদ, সেলিমুজ্জামান সেলিম, শহীদুল ইসলাম বাবুল, মুনির হোসেন, আফরোজা আব্বাস, সাইফুল আলম নীরব, মাহবুবুল হাসান পিংকু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু, সুলতানা আহমেদ, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, হাসান মামুন, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, নুরুল ইসলাম নয়ন, আবু বকর সিদ্দিক, রফিকুল আলম মজনু, শাহজাহান মিয়া সম্রাট, খন্দকার মারুফ হোসেন, আ ক ম মোজাম্মেল, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসানসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা। জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৭৫ সালের এ দিনে স্বাধীনতাকামী সৈনিক, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ এবং সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দেশের স্বাধীনতাকে সুসংহত করেছিলেন। সেদিন থেকেই আধুনিক বাংলাদেশের নতুন একটি অধ্যায় শুরু হয়েছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, একটি স্বাধীন স্বাতন্ত্র্য জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ দিনটিকে অবমূল্যায়ন করে আসছে। শুধু তাই নয়, ইদানীংকালে তারা তাদের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এদিন সম্পর্কে বিকৃত ইতিহাস বর্ণনা করছে।

দিবসটি উপলক্ষে ভোরে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা তোলা হয়। এ উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন পোস্টার এবং জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.