সমাজ অনেক দিক দিয়ে এগিয়ে গেলেও নারীরা এখনও নানাভাবে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। আর এর জন্য অনাচারমূলক দু:শাসন ও দুর্বৃত্তদের দাপটকে দায়ি করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি বলেন, বর্তমানে নারী নির্যাতন মহামারি আকার ধারণ করেছে। নারীর ওপর নির্যাতনে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বোচ্চ পর্যায়ে। মূলত: অনাচারমূলক দু:শাসনের কারনেই দুর্বৃত্তদের দাপট অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়াতে অসহায় নারীরা মর্মান্তিক পীড়নে পিষ্ট হচ্ছে।
বিএনপির চেয়াপারসন বলেন, রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থায় বেড়ে ওঠা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন এদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত। নিজ জীবনের বাস্তবতার মধ্যে উপলব্ধি করেছিলেন সমাজে নারীর পিছিয়ে থাকা অবস্থান। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন পশ্চাদপদ অবস্থানের কারণেই মানুষের সহজাত সকল ধরণের অধিকার থেকে নারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া উপলব্ধি করেছিলেন শিক্ষাই নারীর আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রধান অবলম্বন। তার জীবন-সংগ্রামের লক্ষ্যই ছিল নারী শিক্ষার বিস্তারের মধ্য দিয়ে নারীমুক্তি। আর নারীমুক্তির বাণী বহন করতে গিয়ে তাকে সমাজের গোঁড়া রক্ষণশীলদের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন কর্তব্যকর্মে অদম্য ও অবিচল। বেগম রোকেয়া তার ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে নারীর প্রতি সমাজের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের মূলে আঘাত হেনে ছিলেন। সংসার, সমাজ ও অর্থনীতি জীবনের এই তিনটি ক্ষেত্রে নারীকে স্বায়ত্ত্বশাসিত ও আত্মমর্যাদাশীল হতে তিনি গভীরভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
খালেদা জিয়া আহ্বান জানিয়ে বলেন নারী সমাজকে স্বাবলম্বী করতে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে ছিলেন। চারিদিকের সংকীর্ণ কুপমুণ্ডুক বাধা সত্বেও নারী মুক্তির দিশারী মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার দেশে এই অরাজকতা দূরীভূত করে তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে আসতে হবে।
বাণীতে খালেদা জিয়া বেগম রোকেয়ার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।