রাজধানী সেগুনবাগিচার জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্য সংসদ প্রযোজিত নাটক ‘গহনযাত্রা’। রুবাইয়াৎ আহমেদের রচনা ও সুদীপ চক্রবর্তীর নির্দেশনায় নাটকটিতে একক অভিনয় করছেন শামছি আরা সায়েকা। এদিন নাটকটির দ্বিতীয় মঞ্চায়ন হবে।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, এই ভূখণ্ডের কোনো এক স্থানে জন্ম নেয় উগ্রপন্থার। সেই উগ্রপন্থার অনুসারীরা বিপরীত সব মতবাদ প্রত্যাখ্যান করে শুধুমাত্র একটি মতবাদকেই প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এজন্যে তারা চালায় ধ্বংসলীলা, বইয়ে দেয় রক্তগঙ্গা, হত্যা করে অগণিত মানুষ, ধর্ষিত হয় অসংখ্য নারী। ভিন্ন মতাদর্শের এক ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের মানুষদের তারা ধরে নিয়ে বন্দি করে রাখে। বন্দিদশা থেকে পালাতে চায় অনেকে। কিন্তু মারা পড়ে তারা।
শুধু একজন বেঁচে যায়। সালমা। কিন্তু বেঁচে গিয়ে ফিরে আসে সালমা। খোলা প্রান্তরে পড়ে থাকা লাশগুলো সমাহিত করবে বলে। এই সময়ে সালমা নিজের অভ্যন্তরে টের পায় অপর কারো অস্থিত্ব। সেই অস্থিত্ব হয়তো তারই বর্ধিত কোনো রূপ কিংবা অপররূপে সে নিজেই অথবা অন্যকিছু। আমরা জানি না। সেই অস্থিত্ব তার সঙ্গী হয়। মৃতদের কবর দেবার পর সালমা খোঁজ করে তার প্রার্থিত পুরুষের।
খুঁজে পায় ল্যাম্পপোস্টে ছিন্নমস্তক ঝুলে আছে সেই পুরুষ। সালমা উগ্রপন্থিদের হাতে ধরা পড়ে। তাকে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ঠিক তখন সালমা উপলব্ধি করে এ তার পরীক্ষা, যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সে পাবে পরমের সান্নিধ্য। সালমার নিজের অন্তর্ধানের মধ্যদিয়ে মঙ্গল কামনা করে, যেন সব অনাচার আর বিভেদ লুপ্ত হয় পৃথিবী থেকে।
নাটকটির নির্দেশনা সহযোগী, দ্রব্য ও মুখোশ পরিকল্পনা করেছেন সঞ্জীব কুমার দে, সংগীত পরিকল্পনা করেছেন সাইম রানা, সংগীত সঞ্চালনে রয়েছেন মেহেদী হাসান মেধা, মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন সুদীপ চক্রবর্তী, আলোক পরিকল্পনা করেছেন আতিকুল ইসলাম জয়, পোশাক ও রূপসজ্জা পরিকল্পনা শামছি আরা সায়েকা