সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পল্লীতে গাছের সঙ্গে বেঁধে পবিত্র ভুষণ তালুকদার যিশু (৩২) নামে এক যুবককে পেটালেন জেলা ছাত্রলীগ নেতা যুবায়ের আহমদ।
পূর্ব বিরোধের জের ধরে সোমবার উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় উপজেলার শাহপুর গ্রামের শেখ রাসেল মিয়া, ইয়াহিয়া, সাহাব উদ্দিনসহ আরও দুই যুবক যুবায়েরের সঙ্গে ছিলেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
পবিত্র ভুষণ তালুকদার যিশুর বাড়ি উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে।
যুবায়ের আহমদের বাড়ি একই উপজেলার শাহপুর গ্রামে। তিনি জেলা ছাত্রলীগের পাঠাগার বিষয়টি সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ফতেপুর মুরারীচাঁদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের চায়ের সামনের রাস্তায় যিশুকে ডেকে নেয় যুবায়ের ও রাসেল। পরে যুবায়ের তাকে বলে, ‘তুই বেশি বাড়ছস। বেশি মাথলে (কথা বললে) তরে কোপাইয়া টুকরা কইরা গাঙে (নদীতে) ভাসাইয়া দিমু।’
এ সময় যিশুর কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন ও নগদ ২৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর দিকে একটি গাছের সঙ্গে দুই হাত পেছনে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে। যিশুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যুবায়ের মঙ্গলবার রাতে যুগান্তরকে বলেন, ‘যিশু লোক ভাল না, যিশুর কাছে পিরিজপুর গ্রামের রুবেল ১ লাখ টাকা পেত। সে রুবেলকে মারধর করেছে। এ ঘটনায় আমি নিজে বিচার করেছি।’
গাছে বেঁধে নির্যাতনের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি যিশুকে বেঁধেছি। সে রাসেলের পকেট থেকে টাকা নিয়েছিল। তাই গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেছি। তবে মারধর করিনি।’
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ফজলুল হক তুহিন বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই অমানবিক। আমি লোখমুখে শুনেছি।’
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনাটি ছাত্রলীগের জন্য খুবই লজ্জাজনক।’
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মোল্লা মনির হোসেন মঙ্গলবার রাতে যুগান্তরকে বলেন, নোয়াগাঁও গ্রামে এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় চারজনের নামে থানায় মামলা হয়েছে।