আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

গাজীপুর বারে বোমা হামলা ২৮ জুলাই হাই কোর্টের রায়

দেশের সংবাদ : ১১ বছর আগে গাজীপুর আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বোমা হামলা চালিয়ে চার আইনজীবী ও চার বিচারপ্রার্থীকে হত্যার ঘটনায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), আপিল ও জেল আপিলের ওপর ২৮ জুলাই রায় দেবেন হাই কোর্টে।

আজ তৃতীয় দিনের শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রায়ের এ দিন ঠিক করে দেন।

গত ১৩ জুলাই হাই কোর্টে এ মামলার শুনানি শুরু হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহীদুল ইসলাম খান। আসামিপক্ষে ছিলেন দেলোয়ার হোসেন, আফজাল এইচ খান ও মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবীর বলেন, দশ আসামি দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রেক্ষিতে তারা অনুতপ্ত বলে জবানবন্দিতে এসেছে। শুনানিতে তাদের দণ্ডাদেশ বহাল রাখার আরজি জানিয়েছি।

অন্যদিকে দুই আসামির আইনজীবী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘গ্রেপ্তারের দীর্ঘদিন পরে তাদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়। ঘটনার সময় তাদের বয়সের দিকটি বিবেচনায় নিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রার্থনা করেছি।’

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর গাজীপুর অ্যাডভোকেট বার সমিতির দুই নম্বর হলে শক্তিশালী দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আইনজীবীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতির মধ্যে ওই হামলায় আত্মঘাতী জেএমবি সদস্য আজাদ ওরফে জিয়া ওরফে নাজির ওরফে নাহিদ ঘটনাস্থলেই মারা যান।

পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গাজীপুর বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন; আইনজীবী নুরুল হুদা, আনোয়ারুল আজম ও গোলাম ফারুক এবং চার বিচারপ্রার্থী।

এ ঘটনায় জেএমবি নেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও আতাউর রহমান সানী, আত্মঘাতী হামলাকারী ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন।

তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৪ জুলাই পুলিশ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তবে জেএমবি নেতা শায়খ আব্দুর রহমান, আতাউর রহমান সানি ও খালেদা সাইফুল্লাহর অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এবং হামলাকারী আজাদ ও তার সহযোগী জেএমবি সদস্য মোল্লা ওমর ওরফে শাকিলের মৃত্যু হওয়ায় তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

গাজীপুর প্রথম আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল দশ জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই বছরের ৩ অক্টোবর সরকার মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ পাঠায়।

এরপর আট আসামির বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আলাদাভাবে সংশোধিত চার্জ গঠন হয়। আলোচিত এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৭০ জন এবং আসামিপক্ষে তিনজনের সাক্ষ্য শোনে আদালত।

শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২০ জুন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন যে রায় ঘোষণা করেন, তাতে দশ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দশ জেএমবি সদস্য হলেন-, এনায়েত উল্লাহ ওরফে ওয়ালিদ ওরফে জুয়েল, আরিফুর রহমান ওরফে আকাশ ওরফে হাসিব, মসিদুল ইসলাম মাসুদ ওরফে ভুট্টো, সাইদুর মুন্সী ওরফে শহীদুল মুন্সী ওরফে ইমন ওরফে পলাশ, আবদুল্লাহ আল সোহাইন ওরফে যায়িদ ওরফে আকাশ, নিজাম উদ্দিন রেজা ওরফে রনি ওরফে কচি, তৈয়বুর রহমান ওরফে হাসান, মো. আশরাফুল ইসলাম ওরফে আরসাদ ওরফে আব্বাস খান, মো. সফিউল্লাহ ওরফে তারেক ওরফে আবুল কালাম ও আদনান সামী ওরফে আম্মার ওরফে জাহাঙ্গীর। – See more at: http://www.jamunanews24.com/bn/details.php?id=22416#sthash.8mu4D4nO.dpuf

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.