আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

গুলশান হামলায় আটক সেই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন!

নরসিংদী: রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসানে বেকারি রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলায় জড়িত সন্দেহে নরসিংদী থেকে আটক নারী মানসিক ভারসাম্য। এমনটাই দাবি করেছে তার পরিবার এবং স্থানীয়রা। গত বুধবার শিবপুরের চরখুকি থেকে রুমা আক্তার (৩৫) নামে ওই নারীকে আটক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ আটকের কথা এখনো স্বীকার করা হয়নি।

গুলশান হামলার ঘটনায় গত ১৯ জুলাই র‌্যাব হলি আর্টিসানের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে। ফুটেজে ঘটনার রাতে চারজন ব্যক্তির সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। যাদের একজন নারীও ছিলেন। আটক করা রুমা আক্তারই ভিডিও ফুটেজের সেই নারী- এটি স্বীকার করেছেন রুমার বড় বোন সাবিনা আক্তার।

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের চরখুপি গ্রামে এই বোনের বাড়ি থেকেই রুমাকে আটক করে পুলিশ। তিনি পার্শ্ববর্তী পলাশ উপজেলার চরসিন্ধুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন বুদু মিয়ার ছোট মেয়ে।

রুমা আক্তারের দুইবার বিয়ে হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে স্বামী পরিত্যক্তা। তার শ্রাবণ খান নামে ১৫ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ছেলেটি বাবার কাছে থাকে। তিনি ঢাকার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন।

গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর দুবাইতে গৃহপরিচারিকার ভিসা নিয়ে গেলেও তিন মাস পরে ফিরে আসেন রুমা। ঢাকার বাড্ডা নতুন বাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। গুলশানে জঙ্গি হামলার সময় হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টের আশপাশ এলাকায় ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার বোন সাবিনা।

সাবিনা জানান, স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর রুমা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে বুয়ার কাজ করেন। ছয় মাস আগে দুবাই কাজ করতে যান। কিন্তু তিন মাস পরই ফিরে আসেন। একাধিকবার তাকে মানসিক চিকিৎসক দেখিয়েও কাজ হয়নি। নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার।

গুলশানের ঘটনায় মেয়ে গ্রেপ্তার হওয়ায় বিব্রত মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন বুদু মিয়া। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান।

এদিকে গ্রামবাসী জানায়, স্বামীর সংসার হারানোর পর থেকে রুমা অস্বাভাবিক আচরণ করছেন। ইতিমধ্যে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন তিনি।

র‌্যাব প্রকাশিত ফুটেজে সন্দেহভাজন নারী

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলার ঘটনায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জন নিহত হন। এছাড়া জঙ্গিদের গ্রেনেডে নিহত হোন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। ২ জুলাই যৌথ অভিযানে ৩০ জনের বেশি জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নিহত হয় ছয় জঙ্গি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.