মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদ দেখিয়ে পুলিশ বিভাগে চাকরি নেওয়া ১৯ জন কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার পাবনা থেকে সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার চর জকনালা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলের ছেলে আইয়ুব আলী (কনস্টেবল নং-২৯৮৫৫), আদাচাকি গ্রামের কোরবান মোল্লার ছেলে কামরুল ইসলাম (কনস্টেবল নং ২৬৬৬), দেলোয়া কান্দি গ্রামের সানাউল্লাহ শেখের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস শেখ (কনস্টেবল নং ২৯৫৪০) চর মেঠুয়ান গ্রামের শহিদ আলীর ছেলে আলী আব্বাস (কনস্টেবল নং-২৯০৮৩), ব্রাহ্মণ গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মো. আলী (কনস্টেবল নং-২৯৯১৯), আদাচাকি গ্রামের আনসার আলীর ছেলে সবুজ মিয়া (কনস্টেবল নং-২৬৩১), কাজিপুড়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে আবু হানিফ (কনস্টেবল নং২৬৩০), আগনুকালী গ্রামের শুকুর শেখের ছেলে সাইফুল ইসলাম (কনস্টেবল নং-২০৫৯২), কোণাবাড়ি গ্রামের আব্দুল বারির ছেলে ফেরদৌস (কনস্টেবল নং-১৫০৯১), চর রাইয়পুর গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (কনস্টেবল নং-১৪২৮০), ধুলগাগড়াখালি গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে হায়দার আলী (কনস্টেবল নং-২৯৪৬০), লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে বুদ্ধি মিয়া (কনস্টেবল নং-২৭৫৯), তেয়াশিয়া গ্রামের গোবিন্দ সরকারের ছেলে সুমন সরকার (কনস্টেবল নং-২৭৪৬), বিশ্বাসবাড়ি গ্রামের সুজাবত আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (কনস্টেবল নং-২৯৯৬৩), চরমেটুয়ানি গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে আব্দুল আওয়াল (কনস্টেবল নং-২৪৬০৯), চর মধ্য মেটুয়ানি গ্রামের গনি সরকারের ছেলে আমিনুল ইসলাম (কনস্টেবল নং-২৩০৬২), দক্ষিণ বানিয়াগাতি গ্রামের রজব আলীর ছেলে আলামিন (কনস্টেবল নং-২৯২৭৪), বয়রাবাড়ি গ্রামের সানাউল্লাহ মন্ডলের ছেলে সোহেল রানা (কনস্টেবল নং-২০৭০২) এবং বয়রাবাড়ি গ্রামের সোনাউল্লাহ মন্ডলের ছেলে সুমন আহমেদ ( কনস্টেবল নং-২০৮৮১)।
দুদকের পাবনা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক ও উপসহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ তাদের গ্রেপ্তার করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সিরাজগঞ্জ থানায় ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর করা এক মামলার আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান প্রণব ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, এরা ভুয়া সনদ দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি নিয়েছিলেন। মামলার পর তাদের ভর্তি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত ছিল।
সোমবার বিকালে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলার হাকিম আদালতে নিয়ে যান দুদক কর্মকর্তারা। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
দুদক কর্মকর্তা আবু বকর বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সনদ জাল করে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে এই ১৯ জনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করেছিল পুলিশ সদর দপ্তর।
“পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় দুদককে। দুদকের প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বিকালে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। প্রমাণ মেলার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।”
তাদের দেওয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া প্রমাণিত হলে তাদেরকে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনের এসআই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০ কনস্টেবল ও তাদের অভিভাবকসহ মোট ৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার আসামি ১৯ কনস্টেবলকে আটক করা গেলেও একজন পলাতক বলে জানান তিনি।করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।