ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : ছাতকে পর পুরুষের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার সময় তিন সন্তানের জননীসহ তার লম্পট প্রেমিককে আটক করে জনতা স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়ে। পরে কোনো আইনি ব্যবস্থা না নিয়েই পুলিশ ফাঁড়ি থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের বারোগোপী গ্রামে। স্থানীয় লোকজন জানান, জগন্নাথপুর উপজেলার বালিকান্দি গ্রামের বকুল মিয়ার স্ত্রী, তিন সন্তানের জননী এ গৃহবধূ গত কয়েকদিন আগে বেড়ানোর জন্য বারোগোপী গ্রামের বাবার বাড়িতে আসে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বালিকান্দি গ্রামের তৈমুছ আলীর ছেলে সাইদুল ইসলামের হাত ধরে একটি সিএনজি যোগে বাবার বাড়ি ছাড়ে ওই গৃহবধূ।
এ সময় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে ধাওয়া করে জটি গ্রাম এলাকা থেকে তাদের আটক করে স্থানীয় ইউপি সদস্য জমির উদ্দিনের কাছে নিয়ে আসে। এখানে ইউপি সদস্য স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও বিষয়টি সমাধান দিতে না পেরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হস্তান্তর করেন ইউপি সদস্য জমির উদ্দিন।
ফাঁড়িতে গভীর রাত পর্যন্ত তাদের আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই গভীর রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমেই গৃহবধূসহ লম্পটকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ইউপি সদস্য জমির উদ্দিন এ ব্যাপারে জানান, পালানোর সময় স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে তার কাছে নিয়ে আসে। সাইদুল ও গৃহবধূর সঙ্গে আলাপচারিতায় বোঝা গেছে তারা অবৈধ সম্পর্কে আসক্ত। যা একটি সামাজিক অপরাধ বলে তিনি মনে করেন। বিষয়টি জটিল ও অপরাধমূলক হওয়ায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে জন্য তিনি তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
তিনি জানান, গভীর রাতে গায়াছ মিয়া নামের এক জনৈক প্রভাবশালী ব্যক্তি তদন্ত কেন্দ্র থেকে অপরাধীদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এখানে প্রভাব ও আর্থিক লেনদেন কাজ করেছে বলে জমির উদ্দিন মেম্বার মনে করেন। ইউপি চেয়ারম্যান সায়েস্থা মিয়া জানান, তিনি শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি জেনেছেন। এর বেশি কিছু তিনি জানেন না।
এ ব্যাপারে জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই দিদার জানান, বিষয়টি ছিল পারিবারিক কলহজনিত ঘটনা। গৃহবধূর পারিবারিকভাবেই পরিচিত ছিল সাইদুল। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। রাতেই স্বামীর কাছে গৃহবধূকে তুলে দেওয়া হয়েছে।