আগের রাতে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া বাস দাউদকান্দি ও মেঘনাঘাট এলাকায় যানজটের কারণে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীতে ফিরতে দেরি হওয়ায় ঈদযাত্রার শুরুতেই বাস টার্মিনালে দীর্ঘ প্রতীক্ষায় কাটাতে হয়েছে ঢাকা চট্টগাম সড়ককের যাত্রীদের। আশপাশের বিভিন্ন কাউন্টারে বাস না পেয়ে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে দক্ষিণ জনপদের বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদেরও। গরমের মধ্যে নারী ও শিশুদের ভোগান্তি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। তবুও যেন অজানা সুখের পরশ আছে তাদের চোখে মুখে
বেলা ১১টায় ফেনীর স্টার লাইন পরিবহনের কাউন্টারে বাসের অপেক্ষায় থাকা সুরুজ বাঙ্গালী বলেন, বাস সাড়ে ৯টায় ছাড়ার কথা থাকলেও বাস না আসায় রওনা হতে পারেননি। “রোদে এতক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি। কিন্তু গাড়ি নাই। বাচ্চারা খুব কষ্ট পাচ্ছে। গাড়ি কখন আসবে বলতে পারছে না এরা। বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে এভাবে রাস্তায় বসে থাকা যায় না। টিকেট ফেরত দিয়ে সাড়ে আট হাজার টাকায় মাইক্রোবাস ভাড়া করেছি।”
স্টার লাইনের কাউন্টার ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান বলেন, “গাড়ি যানজটে মেঘনাঘাটে আটকে থাকায় আসতে দেরি হচ্ছে। তাই যাত্রীদের কিছু বলতেও পারছি না। যারা টিকিট ফেরত দিতে চাচ্ছে আমারা টিকিট নিয়ে টাকা দিচ্ছি। ঢাকায় ২১টা বাস ছিল, সেগুলো ঠিক সময়েই ছেড়ে গেছে। কিন্তু সাড়ে ৯টার পর আর কোনো গাড়ি আমরা ছাড়তে পারিনি। ফেনী থেকে ছেড়ে আসা গাড়ি না আসলে ছাড়ব কীভাবে?”
একই চিত্র দেখা গেছে এনা পরিবহনের মানিকনগর কাউন্টারে। গাড়ির অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা যাত্রীদের দেখা মিলল একুশে পরিবহনের কাউন্টারেও। বেলা ১২টা পর্যন্ত এ পরিবহনের ১৮টি বাস ঢাকা ছেড়েছে বলে জানান কাউন্টার ব্যবস্থাপক সোহেল রানা।
“এগুলো ঢাকায় ছিল বলে ছাড়তে পেরেছি। ওই দিক থেকে গাড়ি না আসায় এরপর আর গাড়ি ছাড়তে পারব না।
“এই রাস্তা আসতে এমনিতে সাড়ে তিন ঘণ্টা লাগে। কিন্তু আজকে দাউদকান্দি থাইকা মেঘনাঘাট পর্যন্ত জ্যাম। ১০ ঘণ্টা লাগলো। আমি তো তাও আসতে পারছি, অন্যরা কখন আসে ঠিক নাই।”