রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে রেডিও-টেলিভিশনের মেকার থেকে ডাক্তার বনে যাওয়া সালাউদ্দিন ওরফে মেকার সালাউদ্দিন (৫০) নামে এক প্রতারককে আটক করে দণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের কানুদাসকাঠি গ্রামের কাটাখালী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এ সময় তার চেম্বারে থাকা কবির ও নজরুল নামে তার দুই সহযোগীকেও আটক করে পুলিশ। পরে তাদের আড়াই লাখ টাকা অর্থডণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদার। দণ্ডিতরা সবাই উপজেলার কানুদাসকাঠি গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, সালাউদ্দিন এক সময়ে পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলায় টেলিভিশন ও রেডিও মেরামতের কাজ করতেন। তবে তিনি গত তিন-চার বছর ধরে নিজেকে ডাক্তার দাবি করে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তবে এলাকার মানুষ তার কাছে চিকিৎসা না নিলেও দূর থেকে অনেকেই আসেন। তিনি গত কয়েক বছরে চিকিৎসার নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন। বর্তমানে দেশে করোনা দুর্যোগে ভুয়া চিকিৎসার বিষয়টি সামনে এলে প্রতারক সালাউদ্দিনের বিষয়ে প্রশাসনকে জানায় স্থানীয়রা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহাগ হাওলাদার বলেন, ভুয়া চিকিৎসক সালাউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে তার বসতঘরে চেম্বার খুলে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছেন। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সালাউদ্দিনের নিজ বসতবাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে মানুষকে চিকিৎসা দেওয়ার সময় হাতেনাতে তাকে আটক করা হয়। এ সময় বিভিন্ন কম্পানির এন্টিবায়োটিক ওষুধ ও মানুষকে দেওয়া চিকিৎসা পত্র জব্দ করা হয়। পরবর্তিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারা অনুযায়ী দুই লক্ষ টাকা ও তার দুই সহযোগীকে ২৫ হাজার করে ৫০ হাজার টাকা অর্থডণ্ড প্রদান করা হয়। ভবিষ্যতে তিনি এ ধরণের প্রতারণা করবেন না মর্মে মুচলেখা রাখা হয়।