আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

‘ডার্মাটো সার্জারি’ ত্বকের সমস্যায়

ত্বকের কিছু সাধারণ সমস্যায় ডার্মাটো সার্জারি পদ্ধতি প্রয়োগ করে ব্যাপক সফলতা পাওয়া যাচ্ছে বর্তমানে। এ পদ্ধতিতে দ্রুত রোগ নিরাময় হয়। দিনের পর দিন বা মাসের পর মাস ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। সাধারণত যেসব সমস্যায় ডার্মাটো সার্জারি ভালো কাজ করে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।

১. ব্রণের চিকিৎসা : ব্রণ খুব সাধারণভাবে প্রাপ্ত বয়স্কদের হয়েই থাকে। এটা ব্ল্যাকহেড নামেও পরিচিত। মুখমণ্ডলেই বেশি হয়। চিকিৎসাও খুব সাধারণ। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম এমন ওষুধ যেমন- ইরাইথ্রোমাইসিন লোশন দৈনিক দুবার ব্যবহার করতে হয় ব্রণ কমার আগ পর্যন্ত। এ ছাড়া সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে এমন ওষুধ যেমন-রেটিন-এ ক্রিম,টেট্রাসাইক্লিন ক্যাপসুল ইত্যাদি আরো অনেক।

সাধারণ ব্রণের (ব্ল্যাকহেড) চিকিৎসায় উপরোল্লিখিত ওষুধে আশানুরূপ ফল পাওয়া শুরু হতেও সময় লেগে যেতে পারে তিন মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত। তারপর নিরাময়ের জন্য আরো সময়ের প্রয়োজন। এতে হতাশ হয়ে অনেকে একটা পর্যায়ে চিকিৎসা নেওয়া ছেড়েই দেন। সাধারণভাবে ধারণা জন্মায় যে, ব্রণের কোনো ফলপ্রসূ চিকিৎসা নেই। এটাকে মেনে নেওয়াই উত্তম। এ ধারণা সার্জারির মাধ্যমে পাল্টে ফেলা সম্ভব হচ্ছে খুব সহজেই। এ জাতীয় পদ্ধতিতে ইলেক্ট্রো কোয়াগুলেশন করে ব্রণের মূলকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়ে থাকে অথবা যে ব্রণগুলোর মুখ নেই সেগুলোর মুখ ছুটিয়ে দেওয়া হয় এবং পাশাপাশি ওষুধ প্রয়োগে ব্রণকে নির্মূল করা হয়।

২. আঁচিল নিরাময়

প্রচলিত ধারণা হচ্ছে, অ্যালোপ্যাথ চিকিৎসায় আঁচিল নিরাময় সম্ভব নয়। হোমিওপ্যাথ খেলে আঁচিল ভালো হয়। হ্যাঁ, হতে পারে। কোনো চিকিৎসা ছাড়াও ৩০ ভাগ ক্ষেত্রে আঁচিল নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। যেখানে হোমিওপ্যাথ বা অ্যালোপ্যাথের কোনো কৃতিত্ব নেই। উপরন্তু ওষুধ খেয়ে আঁচিলের সংখ্যা বেড়ে গেছে এমন ভুক্তভোগীর সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। তাই অযথা আঁচিলের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে এমন ঝুঁকিযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতিতে না গিয়ে সরাসরি ইলেকট্রা-ফালগারেশন করে (ইলেকট্রিক মেশিনে ধ্বংস করা) অতি অল্প সময়ে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।

৩. ফ্রিকেলস নিরাময়

উন্নত বিশ্বের সাদা চামড়ার মানুষের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মুখমণ্ডলে বাদামি রঙের তিল (ছিট ছিট আকারে) বা ফ্রিকেলস দেখা যায়। এটাকে তারা কোনো অসুখ মনে করে না। তবে সমস্যা হয় যখন আমাদের কালো ত্বকে বা যারা একটু ফর্সা তাদের মুখমণ্ডলে ফ্রিকেলস দেখা দেয়। যেহেতু এ জাতীয় সমস্যা সাধারণ নয়, তাই প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায় চিকিৎসার। কিন্তু কোনো ধরনের ওষুধ প্রয়োগে এই ফ্রিকেলস সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়, এমনকি সামান্য একটু কমবেও না। এ জাতীয় সমস্যা ডার্মাটো সার্জারি করে সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.