আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

ড. মশিউর রহমান:সুন্দরবন নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেয়া ঠিক হবে না:

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সরকার চাইলে তা এখনো বিবেচনায় নিতে পারে। পরিবেশগত ও সুন্দরবন নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেয়া ঠিক হবে না। শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ইস্যুজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অব ফাইন্যান্সিয়াল ক্লোজার অব লার্জ অ্যান্ড মেগা পাওয়ার প্রজেক্ট’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকা চেম্বার সভাপতি হোসেন খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের পরিকল্পনা বিভাগের সচিব তারিকউল ইসলাম। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক জ্বালানি সচিব ড. মোঃ ফৌজুল কবির খান। ড. মসিউর রহমান বলেন, রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র নিয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে অনেক মত আছে। তবে আমি মনে করি, এ ধরনের একটি মেগাপ্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিদ্যুত খাত উন্নত হবে। খুলনা ও যশোর অঞ্চলে যেসব শিল্প কারখানা বিদ্যুতের অভাবে তাদের উৎপাদন সক্ষমতার একটি বড় অংশ ব্যবহার করতে পারছেনা এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তার সুরাহা হবে। কিন্তু তা সত্বেও কোনো ধরনের ঝুঁকি নেয়া ঠিক হবে না। তাই আলোচনার মাধ্যমে আগে বিষয়টি সুরাহা করা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা আরও বলেন, বিদ্যুতের বড় ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়ন একটি অন্যতম ইস্যু। যা দীর্ঘমেয়াদি বন্ড ও ইক্যুইটির মাধ্যমে সংগ্রহ করা যেতে পারে। এছাড়া এই প্রকল্প সফল হতে প্রযুক্তিও অন্যতম। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি এসব প্রকল্পে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো অর্থায়ন করতে আগ্রহী হয় না। এক্ষেত্রে জীবনবীমা কোম্পানিগুলোর লাইফ ফান্ডকে তিনি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের পরামর্শ দেন। সেমিনারে বিশেষ অতিথি পরিকল্পনা বিভাগের সচিব তারিক-উল-ইসলাম বলেন, ২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন বিদ্যুতের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। তবে সরকার বিদ্যুত খাতের উন্নয়নে দীর্ঘ ও স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেয়। যার আলোকে এখন অনেক মেগা প্রকল্প হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মেগা প্রকল্পগুলো নিয়ে যে সমস্যা তা সমাধানে বাজেটে বাড়তি অর্থ বরাদ্ধ রাখার ব্যবস্থা নিচ্ছে যাতে প্রকল্প প্রস্তাব আসার সঙ্গে সঙ্গে ভূমি অধিগ্রহণ সম্ভব হয়। তাছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া দ্রুততর করার জন্য ভবিষ্যতে যা করা দরকার তা নিয়ে কাজ করছে সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.