আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

তৃতীয় বারের মতো মেয়র হিসেবে দেখতে চান লোকমান হোসেন ডাকুয়া কে বাকেরগঞ্জ বাসী।

মোঃবশির আহাম্মেদ : আগা বাকেরের স্মৃতিবিজড়িত বরিশালের বাকেরগঞ্জের অাওয়ামীলীগ এর দু:সময়ের কান্ডারি মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া কে অাবারো মেয়র হিসেবে দেখতে চান তৃনমূলের নেতাকর্মী সহ উপজেলার সাধারণ জনগণ। সূখী সমৃদ্ধশালী আধুনিক বাকেরগঞ্জ উপজেলা গড়ার স্বপ্নপুরুষ এই প্রজ্ঞাবান নেতা। ধর্ম ভিরু এই নেতা প্রায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষের নয়নের মনি-বিশেষনে অভিসিক্ত। অসহায় মেহনতি মানুষের বন্ধু। স্থানীয়রা জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের দু:খ দুর্দশায় নিজেকে সর্বদা ব্যস্ত রাখতেন। বিবেকের ব্যাকুলতায় যখন যেভাবে পারতেন অসহায়দের পাশে দাড়িয়ে বাড়িয়ে দিতেন সহয়তার কোমল দু’হাত। মানুষের দু:খ-দুর্দশা লাঘবের অক্রিতিম বিবেক বোধ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দেশত্ববোধের গভিরতার টানে তিনি নিজেকে জড়িয়েছেন ছাত্র রাজনীতিতে। স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক রাজনীতি মিশে আছে তার হৃদয়ে। ১৯৮৪ সালে তিনি বাকেরগঞ্জ জে.এস.ইউ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পদ গ্রহনের মধ্য দিয়ে ছাত্ররাজনীতি সক্রিয় হন তার ই ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ সনে সরকারি বাকেরগঞ্জ কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ওদের অলংকৃত হয়। তখন থেকেই উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে তার রয়েছে অবাদ বিচরন। কর্মীবান্ধব উধারতা প্রতিভা ব্যাখ্যা করে শেষ করার নয় বলে জানান পৌর অাওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ মাসুদ আকন। ২০০১ সালের পরে বাকেরগঞ্জে আওয়ামীলীগ এর অভিবাবক এর ভুমিকায় দেখা যায় তাকে । কর্মিদের অসুস্থোতা কিংবা কোন ধরনের সমস্যার খবর পেলে ছুটে যেতেন ঝড়ের গতিতে। সর্বোদা হাস্য উজ্বল মুখটা হৃদয় কেরে নেয় পৌর উপজেলাবাসীর। ২০১১ সালে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে দায়িত্ব পান বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক, দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই শাসন শোষনের বৈসম্যের অবসান ঘটিয়ে সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গীমুক্ত উপজেলা গড়ার চেতনা যেন আজ ইতিহাস। অবহেলিত পৌরসভাকে দ্বিতিয়বারের মত মেয়র নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নিত করেন। শুধু পৌরসভাই নয় এখন পুরো উপজেলা জুড়েই তৈরী হয়েছে লোকমান হোসেন ডাকুয়া’র রাজনৈতিক জনপ্রিয়তার শক্তবলায়। সাংগঠনিক দক্ষতায় জেলা নেতাদের মন কেরেছেন প্রজ্ঞাবান এই নেতা। অত্যান্ত দক্ষতা বিচক্ষণতা ও সুনামের সাথে ৭ বছর বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২৫ শে নভেম্বর ২০১৯ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান । এই নেতার প্রতি সকল মানুষের গণঅবস্থান বহিপ্রকাশ বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। দিনের শুরু থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভক্ত অনুসারী এবং নেতা কর্মী শুভার্থীদের ঠাসাঠাসি ভীর যেন লোকমান হোসেন ডাকুয়ার কর্মীবান্ধব উধার রাজনীতি ও সাংগঠনিক দক্ষতায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ১৯৮৯ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে দীর্ঘদিন কারাবরণ ও ১৯৯২ সালে বিএনপি-জামাত জোটের রোশানলের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন বিশেষ ক্ষমতা আইনে (ডিটেনশনে) ছিলেন। সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন সময়ে অনেক মামলা-হামলার শিকারও হয়েছিলেন তিনি। অনেক বাধা-বিপত্তি এসেছে; কিন্তু নিজে কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচলিত হননি।সিন্ডেকেট কোরাম কে ভ্রাতিত্বের বন্ধনে জরিয়ে এগিয়ে চলছেন সব প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে। আর তার কর্মের ফলও তিনি পেয়েছেন প্রিয় সংগঠন থেকে। রাজনৈতিক অঙ্গনে কাজ করতে গিয়ে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের যেমন অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছেন । তেমনি তিনি প্রিয় বাকেরগঞ্জবাসীর স্নেহ-ভালোবাসা পেয়ে ধন্য হচ্ছেন। তাদের প্রেরণায়ই তিনি এগিয়ে চলছেন নিরন্তর। প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বাকেরগঞ্জ উপজেলাবাসীর সেবা করার। প্রতিটি ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কাজের ছোঁয়া বাকেরগঞ্জে পৌরবাসী কে তিনি দিয়েছেন যাহা দৃশ্যমান। এক সময় যখন এলাকায় ঘটতো একের পর এক আইনবিরোধী কার্যক্রম, মারামারি-হানাহানি যেন ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। এখন আর সে পরিবেশ নেই। সবাই এখন সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন ‘সৈনিক’ হিসেবে সারা জীবন মানুষের সেবা করতে চান তিনি। একটি উন্নত ও অাধুনিক উপজেলা গড়তে তাকে অাবারো মেয়র হিসেবে দেখতে চান বাকেরগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনগন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.