পেট্রল পাম্পের নিরাপত্তায় পুলিশের বিশেষ নজরদারী বাড়ানোসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে আগামী ২৯ আগস্ট খুলনা বিভাগের সকল জেলায় ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি এবং বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশন।—
আজ শনিবার খালিশপুরে সংগঠনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গাফফার বিশ্বাস। এ সময় বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশন সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল ইসলাম কাবুল উপস্থিত ছিলেন।
দাবি পূরণে আগামী ২৮ আগস্টের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আলোচনায় না বসলে ২৯ আগস্ট থেকে খুলনা বিভাগের কোন ডিলার বা এজেন্ট ডিপো থেকে তেল উত্তোলন করবে না জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পরবর্তী সময়ে লাগাতার ধর্মঘট আহ্বান করা হবে।
আব্দুল গাফফার বিশ্বাস জানান, মাঝে মাঝে ডিপো থেকে নিম্ন মানের পেট্রল, অকটেন সরবরাহ করা হয়। সরকার-বেসরকারি খাতে ১৭ থেকে ১৮টি কনডেনসেট মিনি রিফাইনারি স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু তাদের উৎপাদিত জ্বালানি ভিন্ন ভিন্ন রং ও মানের হচ্ছে। এই নিম্নমানের জ্বালানি নেওয়ার ফলে জ্বালানি তেল ব্যবসায়িরা বিপাকে পড়ছে এবং গাড়ীর যন্ত্রপাতির ক্ষতি হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে রিফাইনারি থেকে নিম্নমানের জ্বালানি সরবরাহ না করার জন্য সরকারের গৃহীত নীতিমালা পর্যবেক্ষণ ও তদারকির দাবি করা জানানো হয়েছে।
সংগঠন দুটির অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, অতীতের মতো সব ধরনের লাইসেন্স যেমন বিস্ফোরক, পরিবেশ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর, সড়ক জনপথ, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্সসহ অন্যান্য সব লাইসেন্স অয়েল কোম্পানির গ্রহণ ও নবায়ন করতে হবে।
এ ছাড়াও দাবির মধ্যে রয়েছে- সব তেল ডিপো থেকে একই মানের পেট্রল, অকটেন, ডিজেল সরবরাহ করা। পেট্রল পাম্প ছাড়া বোতোলে পেট্রল বিক্রয় বন্ধ করা।