আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

ধর্ষণসহ একাধিক মামলার আসামি শহিদুল পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে!!

মোঃবশির আহাম্মেদ , বরিশাল (বাকেরগঞ্জ) সংবাদদাতা ঃ বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৭ নং কবাই ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামের আ:ওহাব আকনের মেয়ে ফাতেমা আক্তার (২১) কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে শহিদুল ইসলাম নামের এক বিবাহীতা প্রতরক সে ৯ নং কলসকাঠি ইউনিয়নের কোচনগর গ্রামের আব্দুর রশিদ মাতুব্বরের ছেলে ।কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সহিদুল ইসলাম এর সাথে কয়েক বছর আগে ফাতেমার পরিচয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে ফাতেমার সাথে অধ্যক্ষ শহিদুলের প্রেম সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেম সম্পর্কের দুর্বলতার সুযোগে নিয়ে, ফাতেমার মা বাবা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে সেই সুযোগে ফাতেমার বসত বাড়িতে এসে প্রেমের ছলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মাস কয়েক পূর্বে ওই অধ্যক্ষ’র ওরষের সন্তান ফাতেমার গর্ভে আসে।

বিয়ের আগে সন্তান নিবে না। এমন কথা বলে ফাতেমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে সহিদুল। সন্তান নষ্ট করার পরপরই তাদের সম্পর্কের সকল তথ্য প্রমাণ ফাতেমার নিকট থেকে নিয়ে যায় অধ্যক্ষ সহিদুল।জীবনের সবকিছু হারানোর পর ফাতেমা জানতে পারে অধ্যক্ষ মোঃ সহিদুল ইসলাম’র ২ সন্তানসহ এক স্ত্রী রয়েছে। যা ফাতেমার কাছে গোপন রেখেছিল। পরে গত ২২ জুন বাকেরগঞ্জ থানায় ফাতেমা নিজে বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন
মামলা নং১৮/১৪২।এই বিষয়ে ফাতেমা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে জানান, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম প্রভাবশালী হওয়ায় এখন পর্যন্ত ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়ে গেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রী কলেজের সভাপতি হওয়ায় তার নাম ব্যবহার করে ধর্ষক শহিদুল ইসলাম বিভিন্ন রকমের কুকীর্তি করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। উল্লেখ্য, নারী নেসায় আসক্ত শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার কলেজে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মৃত্যু সালাউদ্দিন তালুকদার এর পুত্র বাদল তালুকদারকে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে চাকুরী চুত করায় বরিশালের বাকেরগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির মামলা দায়ের করা হয় মামলা নং৭১/২০১৪। তাহার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ও বিশেষ দায়রা আদালতে মামলা হয় মামলা নং ৪২/২০১৬। এছাড়াও বরিশালের অতিরিক্ত দায়রা জজ ২ আদালতে মামলা হয় মামলা নং ১৭৬/২০১৪।

এ বিষয়ে কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী বাদল তালুকদারের স্ত্রী মাহিনুর বেগম অভিযোগ করে জানন,আমার স্বামী নিয়মিত কলেজের কাজ শেষে অধ্যক্ষ শহিদুলের বাড়িতে ব্যক্তিগত কাজ কর্ম করাতেন। দর্শক শহিদুলের বিভিন্ন রকমের কুকর্ম নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা আমার স্বামী জেনে যাওয়ায় তাকে ষড়যন্ত্র করে তিনটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় ঐ স্ট্যাম্পের স্বাক্ষর ব্যবহার করে চাকরীচ্যুত করে। চাকরি হারিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটিয়ে অসুস্থ হয়ে আমার স্বামী মারা যান।ধর্ষিতা ফাতেমা আরো জানান, আমি সহ আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে আজ আমার জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আকুল আবেদন ধর্ষক শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.