আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

নতুন দ্বন্দ্ব তৈরি করবে কী? বাংলাদেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন:

বাংলাদেশে আজ প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন ।
দেশের ৬১টি জেলায় সকাল নয়টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলবে এই নির্বাচন ।

আইন অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের পাঁচজন নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠন হবে।
তবে সরাসরি এলাকবাসীর ভোটে নয়, নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও অপর সদস্যরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।

কিন্তু জেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, সংসদ সদস্যরা থাকার পরে এই পরিষদ কি কাজ করবে? স্থানীয় সরকার বিষয়ক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “স্থানীয় অবকাঠামো তৈরি, সমন্বয় করা, বিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান নির্মাণ, কৃষি কাজ সহায়তার জন্য ছোট ছোট খাল তৈরি করবেন। জেলা পরিষদের এরকম অনেক কাজ করার আছে” বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কোনও দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে কি-না এমন প্রশ্নে মন্ত্রী মি. হোসেন বলেন, “দ্বন্দ্বের কোনও সম্ভাবনা নেই। জেলা প্রশাসক জেলা পরিষদের কাজে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে”।

এর আগে উপজেলা পর্যায়ে কোনও কোনও ক্ষেত্রে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাজের পরিধি নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়েছিল। সেরকম আশংকা থাকে কি-না জানতে চাইলে ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেন, জেলা পরিষদের সাথে পৌরসভা বা উপজেলার কোন দ্বন্দ্বের অবকাশ নেই। উপজেলায় একটা দ্বন্দ্ব হয়েছিল স্বীকার করে তিনি বলেন, পরে সেটা ওভার-কাম হযে গেছে।

৩৬টি সরকারি বিভাগ উপজেলা পরিষদের অধীনে চলে গেছে। চেয়ারম্যান সেসব কর্মকাণ্ড সমন্বয় করেন। জেলাতেও সেরকম পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
১৯৮৮ সালে প্রথম জেলা পরিষদ আইন হলেও, ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত জেলা পরিষদ গঠনের জন্য নতুন আইন করে। ২০১১ সালে দলীয় নেতাদের পরিষদের প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ দেয় সরকার।

তখন স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা বলেছিলেন, ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জেলা পরিষদ গঠন করা হবে। তবে ছয়মাসের মধ্যে না হলেও, প্রায় ছয়বছর পর নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.