আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

পদ ছাড়তে হবে জেলা পরিষদ প্রশাসকদের নির্বাচন করতে

জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে বর্তমান প্রশাসকদের পদত‌্যাগের বিধান যোগ করে আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ’ আবারও সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

ফৌজদারি মামলায় আদালতে গৃহিত অভিযোগপত্রে নাম এলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা এবং চেয়ারম‌্যানের অনুপস্থিতিতে সরকার মনোনীত কোনো ব‌্যক্তিকে ওই দায়িত্ব দেয়ার সুযোগ রেখে গত ২৯ আগস্ট জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৬-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

সংসদ অধিবেশন চলমান না থাকায় ‘জরুরি বিবেচনায়’ গত ৫ সেপ্টেম্বর অধ‌্যাদেশ আকারে জারি করা হয় সংশোধিত ওই আইন।

জেলা পরিষদের বর্তমান মনোনীত প্রশাসকরা কিভাবে পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেবেন, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ওই অধ্যাদেশে ছিল না।

জেলা পরিষদ আইনের ৬ (চ) ধারায় বলা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য বা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বা সদস্য হন বা থাকেন।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, এই উপধারায় জেলা প্রশাসক শব্দটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

‘আইনটি সংশোধন হলে জেলা পরিষদের নিয়োগকৃত প্রশাসকরা পদত্যাগ করে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন।’

তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।

তাদের মেয়াদপূর্তিতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা কমিয়ে আইন সংশোধন করে গত আগস্টে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করেছিল সরকার।

ওই অধ‌্যাদেশ কোনো পরিবর্তন ছাড়াই আইন হিসেবে পাসের জন‌্য সংসদে তোলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.