স্নায়ু বিকাশের সমস্যায় থাকা প্রতিটি ব্যক্তির ন্যায্য সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বলেন, তাদের এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যেন তারা পরিবার ও সমাজে অবদান রাখতে পারে। এই উদ্যোগে সবাইকে শামিল হতে হবে।
‘স্নায়ু বিকাশের সমস্যায় থাকা প্রতিটি ব্যক্তির ন্যায্য সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে’
আজ বৃহস্পতিবার স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যা বিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্র নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে অটিজম ও স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যা বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ এই কথা বলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সায়মা ওয়াজেদ বলেন, প্রতিবন্ধী বা স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যায় ভুগছে এমন ব্যক্তির সারা জীবনের জন্য বিশেষ চাহিদা থাকে। জন্মের আগে থেকে প্রৌঢ় বয়স পর্যন্ত জীবনের আটটি স্তরেই তাদের বিশেষ সহায়তার প্রয়োজন হয়। কোনো এক ব্যক্তি বা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এই ধরনের সব মানুষকে সহায়তা দেওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য সব মন্ত্রণালয় ও সমাজের অন্যদেরও এই কাজে যুক্ত হতে হবে।
বেসরকারি সংস্থা সূচনা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যা বিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্র (২০১৬-২০২১) তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিটি ইনক্লুশান। দেশের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এই কাজে যুক্ত ছিলেন। সেমিনারে এই কৌশলপত্রের মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন সায়মা ওয়াজেদ।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে সহযোগিতার ভিত্তিতে। সহযোগিতা হবে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের। মূল উদ্দেশ্য হবে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা।
পুতুল বলেন, কর্মকর্তাদের স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যার প্রকৃতি বুঝতে হবে, বিশেষ দৈনন্দিন চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে। এমন কর্মসূচি হাতে নিতে হবে যেন বিশেষ সমস্যায় থাকা সবাইকেই তার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায়। এ ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। এরপর তিনি দর্শক-শ্রোতাদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।