আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

প্রধানমন্ত্রী:রক্ত যাচ্ছে মুসলমানদের:

যেসব দেশ মুসলিম অধ্যুষিত, সেখানেই মারামারি, কাটাকাটি, সেখানেই বোমাবাজি, খুনখারাবি হচ্ছে। সেখানেই অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু, এই অস্ত্রটা তৈরি করে কারা? আর লাভবান কারা হয়? রণক্ষেত্র বানাচ্ছে আমাদের মুসলমাদের জায়গাগুলো। রক্ত যাচ্ছে মুসলমানদের। আর ওই অস্ত্র তৈরি করে আর বিক্রি করে কারা লাভবান হচ্ছে? সেটা আপনারা একটু চিন্তা করে দেখবেন।আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় ইমাম সম্মেলনের উদ্বোধনের পাশাপাশি শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ‌্যে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেও কিছু লোক এই জঙ্গিবাদি আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বলেই আমাদের পবিত্র ধর্মটা আজ মানুষের কাছে হেয় হচ্ছে। আজকে আন্তর্জাতিকভাবে এই ধর্মের মান-সম্মান ক্ষুন্ণ্ন করছে, অন্যের চোখে এই ধর্মকে খাটো করে দিচ্ছে, ছোট করে দিচ্ছে।

ইসলাম ধর্মের শেষ বিচারে বিশ্বাসের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শেষ বিচার আল্লাহ রাব্বুল আলামীন করবেন। কেউ যদি সৎ পথে থাকেন, সে বিচার তিনি করবেন। কেউ যদি ভুল পথে থাকে, সে বিচার তিনি করবেন। সেই বিশ্বাসটা কেন আমরা রাখতে পারি না। আল্লাহর ওপর বিশ্বাস হারিয়ে কেন নিজেরাই হাতে তুলে নেই।

সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং সংঘাতের বিস্তারের প্রেক্ষাপটে অস্ত্র বিক্রেতা দেশগুলোর দিকে আঙুল তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মানুষ খুন করা আর সেটা আবার ধর্মের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আলেমদের আরও সোচ্চার হওয়ার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ইসলাম যে শান্তির ধর্ম, সৌহাদ্যের ধর্ম, ইসলাম যে জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে না- এই বিষয়গুলো ব্যাপকভাবে মানুষকে বোঝাবেন। কারণ আপনাদের কথা মানুষ শুনবে, মানুষ নেবে। পাশাপাশি মাদকাসক্তি ও জঙ্গিবাদ থেকে শিশু ও যুব সমাজকে রক্ষায় ইমাম ও আলেমদের দায়িত্ব। আপনারা মানুষকে ঠিকমত বোঝালে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ চিরতরে দূর করতে পারব। আমরা পুরো বিশ্বকে দেখাতে চাই, বাংলাদেশই পারবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে সত্যিকার ইসলাম ধর্মের মূল মর্মবাণী মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে।

ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বি এইচ হারুন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজালও উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইমামের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মাওলানা ওহাবউল্লাহ এরশাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ধর্ম সচিব মো. আব্দুল জলিল। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীতের পর ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। এরপর হামদ, নাত ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন সংগীত শোনানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.