সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাকে যোগ্যতা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। এখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ, স্বজনপ্রীতি, শিক্ষকদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক, ধর্মীয় পরিচয়, বিধিবহির্ভূতভাবে আর্থিক লেনদেনও হচ্ছে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে বলে ট্রান্সপারেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।
ট্রান্সপারেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগ : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় নিয়ে এক প্রতিবেদনে আজ রোববার এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদন তূলে ধরেন মো. রেযাউল করিম ও দিপু রায়। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে টিআইবি এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়েরর তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও টিআইবির ট্রাস্টি অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ এখন মেধা নির্ভর নয়। নিয়োগ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতারর বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ। শিক্ষকদের ভোট ব্যাংক এ প্রসার ঘটাতে গিয়ে রাজনৈতিক প্রভাবসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুনীতি করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বিধিমালায় অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য কার্যকর কোনো শাস্তির বিধান নেই।
টিআইবি বলছে, প্রভাষক নিয়োগের অনিয়মটি একাডেমিক পড়াশোনার সময় থেকেই শুরু হয়। ফলাফল ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়। মৌখিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে অপছন্দের ব্যক্তিকে হয়রানি করা হয়। প্রভাষক নিয়োগে ৩ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়। তবে এটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব বেশি হচ্ছে।
সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি ছাড়া শিক্ষকরা টিকে থাকতে পারে না। তবে আদর্শের রাজনীতি থাকতে পারে। দলভিত্তিক নয়। কিন্তু জেলা পর্যায় অনিয়ম চরম হয়।