মো: মানিকুর রহমান,বরগুনা প্রতিনিধি:দ্বিতীয় স্ত্রীর নিকট যৌতুক দাবী করে না পেয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগে মামলা করেছে তাসলিমা আক্তার। বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রোববার বাদীর মামলাটি গ্রহন করে লেমুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট তদন্ত দেয়। মামলার আসামী হল বরগুনা সদর উপজেলার আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের দক্ষিন ইটবাড়ীয়া গ্রামের আবদুল হাকিম মুন্সীর ছেলে মো. কাওসার মিয়া। তিনি আশা প্রতিষ্ঠানের আমতলী উপজেলার গাজীপুরা শাখার কর্মকর্তা।জানা যায়, কাওসার মিয়া ১৪ বছর আগে প্রথমে বিয়ে করে। প্রথম স্ত্রীর সংসারে কোন সন্তন আসেনি। কাওসারের প্রতিবেশী বিধবা তাসলিমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় কাওসার। এক পর্যায় এ বছর ১লা আগষ্ট কোরবানীর ঈদের দিন রাতে কাওসার বিয়ে করে তাসলিমাকে। এক মাস তাদের নতুন সংসার ভালই চলছে। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে কাওসার তার দ্বিতীয় স্ত্রী তাসলিমার কাছে চার লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। তাসলিমা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে উভয়ের মধ্য বাক বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে কাওসার উত্তেজিত হয়ে তাসলিমাকে হত্যার উদ্দেশ্য গলা টিপে ধরে। তাসলিমা বাঁচার জন্য কাওসারকে ধাক্কা দিলে কাওসার তাসলিমাকে বেধড়ক মারধর করে। তাসলিমার ডাক চিৎকারে তার ভাই মজনু এসে তাসলিমাকে রক্ষা করে। কাওসার ওই রাতে তাসলিমাকে রেখে চলে যায়। তাসলিমা বলেন, কাওসার আমার দ্বিতীয় স্বামী। আমাকে ভাল বেসে বিয়ে করেন। আমার আগের স্বামী আবুল হোসেনের রেখে যাওয়া অর্থ এবং আমার ভাইর অর্থের উপর তিনি লোভ সামলাতে না পেরে আমার কাছে চার লাখ টাকা যৌতুক দাবী করেন। কাওসার আমাকে বলেন, আমার একটি প্রমোশন হবে। বসদের চার লাখ টাকা দিতে হবে। যৌতুক না দেয়ায় আমাকে আমার ভাইর ঘরে বসে হত্যা করতে চেয়েছে। আমি বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে মামলা করি। এ ব্যাপারে কাওসার বলেন, তাসলিমা ও তার ভাই মজনু ৮ আগষ্ট আমার নিকট থেকে জোর করে ৬ টি ষ্ট্যাম্পে সাক্ষর রাখে। এ ব্যাপারে আমি বরগুনা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তাসলিমা ও তার ভাই মজনুর বিরুদ্ধে মামলা করেছি।