আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দেবে

তরুণ উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তাদের হাত ধরে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ এক দিন গোটা বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। গতকাল সকালে দেশের প্রথম সফটওয়্যার ইনকিউবেটর উদ্বোধন শেষে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির যথোপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক সমৃদ্ধ একটি দেশে রূপান্তর করার জন্যই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি খাতের রপ্তানি দেশের পোশাক খাতকে ছাড়িয়ে যাবে। এর আগে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে উদ্বোধন করা হয় দেশের প্রথম সফটওয়্যার ইনকিউবেটর। পরে সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে জয় বলেন, আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের এক ঐতিহাসিক দিন। কেননা দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ডিজিটাল ইনকিউবেটর সাপোর্ট সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে আরেকটি মাইলফলক। এভাবেই ধীরে ধীরে ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান হচ্ছে। জয় বলেন, বাংলাদেশে স্টার্টআপের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আজকের সেরা দশ স্টার্টআপ বিজয়ীই তার প্রমাণ। এই বিজয়ীরা তাদের নতুন নতুন উদ্ভাবন দিয়ে দেশের আইসিটি শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারা বিশ্বের আইসিটি শিল্পের সঙ্গে বাংলাদেশের আইসিটি শিল্পকে পরিচয় করিয়ে দেবে। বিজয়ীদের উদ্ভাবনকে সাহায্য করার বিষয়ে তিনি বলেন, বিজয়ীদের উদ্ভাবনী কাজে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তাদের জন্য জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে বাংলালিংকের সহযোগিতায় ডিজিটাল ইনকিউবেটরের সাপোর্ট সেন্টারে এক বছরের জন্য বিনামূল্যে জায়গা বরাদ্দ পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্যোগটি যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভূমিকা রাখতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে। তরুণ উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে কানেক্টিং স্টার্টআপ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মোট ৫০ স্টার্টআপসকে এই টাওয়ারে স্পেস বরাদ্দসহ কারিগরি সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের বিশ্বমানের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে আইসিটি ডিভিশন ও বাংলালিংক যৌথভাবে সহযোগিতা করবে। আইসিটি ইনকিউবেটর ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরি করার একটি প্লাটফর্ম, যা তরুণদের ক্ষমতায়ন, কাজের সুযোগ প্রদান এবং বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজে কাজের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের পথ হিসেবে কাজ করবে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে বাংলালিংকের সহযোগিতায় ডিজিটাল ইনকিউবেটরের সাপোর্ট সেন্টারে এক বছরের জন্য বিনামূল্যে জায়গা বরাদ্দ পাবে। নির্বাচিত আরও অর্ধশত উদ্যোগ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই ডিজিটাল ইনকিউবেটরের বিভিন্ন সুবিধাসহ তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্প সম্পন্ন করার জন্য জায়গা বরাদ্দ নিতে পারবে। এ ছাড়া উচ্চগতির ইন্টারনেট, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, বড় কনফারেন্স রুম ব্যবহারের সুবিধাসহ তাদের আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্যোগটি যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভূমিকা রাখতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে। শীর্ষ ৫০ স্টার্টআপের বাকি ৪০টিও এখানে কো-ওয়ার্কিং স্পেস ব্যবহারের সুবিধা পাবে। এই ৪০টি স্টার্টআপ তিন মাস সমমানের একসেলারেটর সহায়তা পাবে। এ ছাড়া স্টার্টআপগুলোকে নিয়ে পরবর্তীতে বছরব্যাপী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। আইসিটি ডিভিশন, বেসিস, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) যৌথভাবে কানেক্টিং স্টার্টআপস বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এই আয়োজনে ইনকিউবেশন ও টেলিকম পার্টনার হিসেবে বাংলালিংক এবং অন্যান্য সহযোগী হিসেবে রয়েছে ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, গ্যাপ এবং কিজকি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এতে গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার মহাপরিচালক হাউলিন ঝাও। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক, ভিম্পলকমের চেয়ারম্যান ইমেরিটাস ও কো-ফাউন্ডার অগি কে ফাবেলা, বাংলালিংকের সিইও এরিক ওস, আইসিটি ডিভিশন, বেসিস, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি এবং বিএসিসিও-এর প্রতিনিধিরা। এর আগে সকালে কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে দেশের ইতিহাসে প্রথম ‘আইটি ইনকিউবেটর’-এর লোগোর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.