মোঃবশির আহাম্মেদ : বাকেরগঞ্জ উপজেলার মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের স্মৃতি বিজারিত একমাত্র মুক্তি যোদ্ধা ক্যাম্প শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮৮ বছরের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস বিনষ্ট করে কতিপয় বিপদগামী দুর্নীতিবাজের ছত্রছায়ায় প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজামুল কাদিরের বিরুদ্ধে ব্যপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয় টি খতিয়ে দেখতে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের বরাবর আবেদন করেন। তাদের সে অভিযোগের বিষয় তদন্তে আসলে কতৃপক্ষ প্রথমিক ভাবে সত্যতা প্রমাণ পেয়ে শাস্তি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে তার এমপিও সুবিধা বন্ধ করে দেয়। এতে উক্ত প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে নানান ছলচাতুরীর আশ্রয় খুঁজতে শুরু করে। একই এলাকার বাসিন্দা ও ভাই প্রভাবশালী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হবার কারণে সহজেই পেয়ে যান কুটনৈতিক মসল্লা। এ ক্ষেত্রে তিনি কাজে লাগান জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী এমপি নাসরীন জাহান রত্না আমিনের ডানহাত খ্যাত বিশস্ত কর্মী এডভোকেট মজিবুর রহমান কে, তাকে নিয়ে কিছু দিন ধরে নীল নকশা তৈরি করতে শুরু করলে সহজেই পেয়ে যান, ইতিপূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে ওয়ারেন্ট তালিকায় পলাতক থাকা সভাপতি এম রহমানের ফাঁকা মাঠটি।
কিন্তু সে ক্ষেত্রে চরম নীতি আদর্শে গড়া সৎ নিষ্ঠাবান বিচক্ষণ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সামনে তাদের সে কু- ইচ্ছে টি বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। তারপর ও ক্ষমতা ও অর্থের বিনিময়ে একের পর এক ছক আঁকতে নানা কূটকৌশল অবলম্বন করতে শুরু করে। প্রভাবশালী মুক্তি যোদ্ধা সংগঠক নাটু বাবুর পরিবারকে কি করে জনসম্মুখে প্রশ্নবৃদ্ধ করা যায় তা নিয়ে চলে নানা দুরভিসন্ধি, দীর্ঘদিন ধরে তাদের সে স্বরযন্ত্রর অংশ হিসেবে কমিটির সদস্যদের বিষয় তথ্য গোপন করে নির্বাচনী প্রহাসনের পথ প্রসস্থ করতে থাকেন।
বিষয় টি আচ করতে পেরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোশারেফ হোসেন কতৃপক্ষের বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু অজানা কারণে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া থেকে বিরত থাকেন। করোনা কালীন সময়ে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী সকল স্কুল, কলেজ বন্ধ অবস্থায় হঠাৎ করে কোনো প্রচারনা ছাড়াই সভাপতি নির্বাচনের ঘোষণা করলে তাদের তৈরী এজেন্ডা বাস্তবায়নে কোন প্রতিপক্ষ এগিয়ে না আসলে, নিরুপায় নিঃসংঙ্গ অসহায় নাটুবাবুর স্ত্রী ছায়া রায় চৌধুরী তাকে চ্যালেন্স করে প্রতিধন্ধিতায় অংশ নেন। এতে এলাকায় তার সৎ নিষ্ঠা ও জনপ্রিয়তায় ভীতু হয়ে পুনরায় চলতে থাকে দুরভিসন্ধিমূলক তৎপরতা, এরই অংশ হিসেবে বিদ্যালয়ের নামকরণ পরিবর্তনের ধুঁয়া তুলে কয়দিন ধরে গনমধ্যমে তার ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি সহ নানান ছলচাতুরী ও মিথ্যাচারের আশ্রয় নেন। এ থেকে রেহাই পায়নি ২৯ বছর ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করা তার ছেলে বিপ্লব বহ্নি রায় চৌধুরী প্রর্যন্ত, এমনকি মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ও আশ্রয় দাতা এ পরিবারটিকে রাজাকার বলতেও বিবেকে বাঁধেনি। যাইহোক উক্ত নির্বাচনে ১০ জন ভোটারের ৪ জন অভিভাবক সদস্য, ৩ জন শিক্ষক, ২ জন দাতা,১ জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এদের মধ্যে ৯ জন ভোটার উপস্থিত থেকে তাদের ভোট অধিকার প্রয়োগ করেন। দাতা সদস্যদের একজন অসুস্থ জনিত কারণে আসেনি ঢাকা অবস্থান করছে বলে জানা যায়। এতে ৫ ভোট পেয়েছেন এডভোকেট মজিবর রহমান ৪ ভোট পান ছায়া রায় চৌধুরী। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে তাদের ৫ ভোটের ২ ভোট বাতিল বলে গন্য হবে। কারণ আঃকুদ্দুস নামের একজন ভোটার তার কোন ছেলে মেয়ে স্কুলের ছাত্র ছাত্রী নয় অথচ তার নাতি স্কুলের ছাত্র,তাকেই সন্তান দেখিয়ে তথ্য গোপন করে সাবেক প্রধান শিক্ষক অভিভাবক সদস্য বানিয়েছে যা বর্তমান প্রধান শিক্ষক বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। (২)অন্য একজন ভোটার কাদেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম বজলুর রহমান সে নিজে এবং সাবেক প্রধান শিক্ষক তথ্য গোপন করে তাকে অভিভাবক সদস্য বানিয়েছে যা সম্পুর্ন নীতিমালা পরিপন্থী কারণ ২০১৪ সনের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালকের স্বাক্ষরিত পরিপত্রে স্পষ্ট লেখা আছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন প্রধান/সহকারী শিক্ষক অন্যকোনো বিদ্যালয়ের সদস্য / সভাপতি হতে পারবেনা। কারণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি জনিত চাকরি এবং নিজ চাকরি স্থলে অনেক থাকে বিধায় সরকারি নীতিমালা পরিপন্থী। সুতরাং উল্লেখিত দুটো ভোট বাতিল হবে এবং এই কমিটি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদন দিবেনা বা দিতে পারেনা। তা সত্বেও উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার এনামুল হক থানার ইনপেক্টর অপারেশন মোঃ মমিন উদ্দিনের সহায়তায় নির্বাচন অনুষ্ঠান পরিচালনা করে তড়িঘড়ি সভাপতির নাম ঘোষণা করলে এলাকার সচেতন মানুষের মনে নানান প্রশ্নর সৃষ্টি হয়। তারা বিস্ময় প্রকাশ করে এমন নেক্কার জনক ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এ বিষয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন সিকদারের মুখোমুখি হলে তিনি জানান নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় ওরা কেউ আমাকে জানায়নি। বিদ্যালয়টিতে অনেক অনিয়মের বিষয় প্রতিবাদ জানিয়ে আমি ওদের কাছে শত্রু হয়েছি। কিন্তু অন্যায়ের সাথে আমার কোনো অপোষ নেই। আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রিয় পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি ক্ষমতায় থাকতে এমন অশুভ শক্তির উখ্যান মেনে নিতে পারননি বলে সূত্র নিশ্চিত করছেন।