বরগুনা জেলাকে বাল্য বিয়ে মুক্ত ঘোষনার বেশ তোড়জোড় চলছে। আর এই ঘোষনার পর মুহুর্তে তালতলী উপজেলায় বাল্য বিয়ের হিড়িক পরেছে। বিয়ে হচ্ছে অত্যান্ত গোপনীয়তার সাথে। বাল্য বিয়ের কারন অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, গোপনীয়তা রক্ষা করে অভিভাবকরা মেয়ের বাল্য বিবাহ দিচ্ছেন। এ বিয়ের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতা করছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক, সুশীল সমাজের লোকজন ও অভিভাবকেরা।
ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র থেকে জন প্রতিনিধিরা দায়িত্বরত কর্মচারীদের দিয়ে আসল জন্ম নিবন্ধন গোপন করে বয়স বাড়িয়ে (১৮ বছরের উর্ধে) নকল জন্ম নিবন্ধন দিচ্ছে। ওই ভূয়া জন্ম নিবন্ধন দেখিয়ে স্থাণীয় অর্থলোভী কাজী সাহেবরা (বিবাহ রেজিষ্টার) বিয়ে পড়াচ্ছেন। প্রশাসনের লোকজন হস্তক্ষেপ করলেই বিবাহ রেজিষ্টার (কাজী) চেয়ারম্যানদের দেয়া ভূয়া জন্ম নিবন্ধন দেখিয়ে পাড় পেয়ে যাচ্ছেন। এ ভাবে গত এক মাসে তালতলীতে ৬টি বাল্য বিবাহ হয়েছে। প্রশাসন পদক্ষেপ নিলেও থামছে না। তালতলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে হলে জন প্রতিনিধিদের ভোটের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে এবং ইভটিংজিং বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসরাইল হোসেন বলেন, কয়েকটি বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছি কিন্তু থামানো যাচ্ছে না। যেখানে বাল্য বিয়ের খবর পেয়েছি সেখানেই তাৎক্ষনিক বন্ধের কার্য্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বাল্য বিয়ের হিড়িক তালতলীতে
![](https://www.rockinrioacademy.com/wp-content/uploads/2016/07/ballo.jpg)