দলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে জনসভা ও র্যালি করতে চায় বিএনপি। একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনে সরকারের সহযোগিতা চায় দলটি।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার বিকালে যৌথসভা শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ঘোষণা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির নতুন কমিটির যুগ্মমহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক ও সহসম্পাদকমণ্ডলী এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এটাই প্রথম যৌথ সভা। এ সভায় দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বেশকিছু সিদ্ধান্ত ও কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সুন্দরবন ধ্বংসের জন্য যে ষড়যন্ত্র চলছে তার বিরুদ্ধে এবং চলমান জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি।
তিনি জানান, বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন। একইদিন সকাল ১০টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাবেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি আরও জানান, ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৩১ আগস্ট আলোচনা সভা করবে বিএনপি। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে একটি জনসভা করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু বেশকিছু গণবিরোধী আইন চলছে তাই জনসভার জন্য যথাযথ কতৃর্কপক্ষের কাছে বিএনপির পক্ষ থেকে আবেদন করা হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নবম কারামুক্তি দিবস ৩ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে ৩ সেপ্টেম্বর আলোচনাসভা করা হবে। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি দিবস ১২ সেপ্টেম্বর। তবে পবিত্র ঈদুল আযহার জন্য আলোচনাসভা ১দিন আগে কিংবা দুই দিন পরে পালন করা হতে পারে।’
যৌথ সভায় অংশ নেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শ্যামা ওবায়েদ, বিলকিস জাহান শিরিন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।