ভারতের একটি বন্দর থেকে কন্টেইনারে তালাবদ্ধ অবস্থায় একজন মধ্যবয়সী বাংলাদেশীকে অর্ধচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তমে বেসরকারি ভিজাগ কন্টেইনার টার্মিনাল থেকে বুধবার ওই বাংলাদেশীকে উদ্ধার করা হয় বলে বৃহস্পতিবার রাতের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদপত্র দ্য হিন্দু।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে পাঠানো একটি খালি কন্টেইনারে থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।
ওই কন্টেইনারটি ছিল বিশাখাপত্তম ভিত্তিক ‘সামসারা শিপিং কোম্পানি’র। এটি জেনেভাভিত্তিক ভূমধ্যসাগরীয় শিপিং কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট।
পুলিশ জানিয়েছে, টার্মিনালের কর্মকর্তারা কন্টেইনারটি খোলার পর এর ভেতর থেকে হাড্ডিসার পানিশূন্যতায় কাতর অবস্থায় ওই বাংলাদেশীকে দেখতে পান।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা এসএইচও ভেংকট রাও বলেন, ওই লোকটিকে দেখে শ্রমিক মনে হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি সংঘবদ্ধ কোনো চক্রের পাচারের শিকার হননি। বরং তিনি ভেতরে থাকা অবস্থায় কন্টেইনারের দরজা আটকে দেয়া হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, সাধারণত পেশাদার পাচারকারীরা মাল বোঝাই কন্টেইনারের ভেতরে খাদ্য ও পানীয় দিয়ে মানবপাচার করে থাকে। কিন্তু এই বাংলাদেশীর ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে মনে হচ্ছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ওই কন্টেইনারটি বিশাখাপত্তমে পৌঁছতে ১২ দিন সময় লেগেছে। এই সময় ওই বাংলাদেশী কোনো খাদ্য বা পানি বঞ্চিত ছিলেন।
দীর্ঘ সময় ধরে কিছু না খেয়ে এবং না পান করে ওই বাংলাদেশী শ্রমিক বেঁচে থাকার ঘটনাটিকে ‘আশ্চর্য’ বলে বর্ণনা করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা এসএইচও ভেংকট রাও।
সুস্থ হওয়ার তার কাছ থেকে পুলিশ ঘটনার বৃত্তান্ত শুনবে। তিনি এখন পুলিশ হেফাজতে আছেন বলে জানিয়েছেন ভেংকট রাও।