বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ভোলায় সাড়ে ৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
ভোলায় ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
আজ শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া এলাকায় স্পেশাল ইকোনোমিক জোনের জমি পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জেলার চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে। এছাড়া ভারতের একটি কোম্পানির সাথে আরো ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের জন্য ভোলায় ২০৮ একর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক জোনের মধ্যে ভোলা জেলায় সরকারিভাবে স্পেশাল এই জোন নির্মাণ করা হবে। এখানে পর্যাপ্ত গ্যাস ও বিদ্যুতের মজুদ রয়েছে। ফলে খুব ভালোভাবে ভোলায় গ্যাসভিত্তিক শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠিত করা যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ভোলায় অবকাঠামো পুনঃনির্মাণের জন্য সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। এটি বাস্তবায়িত হলে জেলায় আর কোন কাঁচা রাস্তা থাকবে না। ব্যাপক উন্নয়নে বদলে যাবে পুরো জেলার চিত্র। দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জেলা হবে ভোলা।
ভোলাকে মূল ভুখণ্ডের সাথে যুক্ত করার কথা উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, অচিরেই ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। ইতিমধ্যে ব্রীজ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইর জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে পদ্মা সেতু দিয়ে এই জনপদের মানুষ সরাসরি সড়ক পথে রাজধানী ঢাকায় যেতে পারবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দরের কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। এর ফলে এখান থেকে উৎপাদিত পণ্য নদী পথে পায়রা বন্দর দিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সহজ হবে। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, এখানকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পন্ন হলে বিদেশিরাও এখানে বিনিয়োগ করবেন।
তিনি আরো বলেন, এখানকার অর্থনৈতিক জোনের প্রাথমিক উন্নয়নের জন্য প্রায় সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। আগামী বছরের প্রথম দিকে অধিগ্রহণকৃত জমির মাটি ভরাটসহ সার্বিক কাজ শুরু করা হবে। আর অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের ফলে ভোলা হবে দেশের সবচেয়ে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ জেলা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোন অথারিটির চেয়ারম্যান পপন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. সেলিমউদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুল মমিন টুলু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব।
সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ভোলাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।