পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের পেছনে সরকারের একজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির এক আলোচনা সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি। ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে এ সভা হয়।
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে জনদুর্ভোগের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে (বুধবার) সকালে উত্তরা থেকে অনুষ্ঠানস্থলে আসার পথে দেখলাম, কোনো বাস চলছে না, পাবলিক যানবাহন নেই। অসম্ভব কষ্ট মানুষের, হেঁটে হেঁটে মহিলারা পর্যন্ত রাস্তা-ঘাটে চলছেন। মঙ্গলবার দেখেছি গাবতলীতে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি-সংর্ঘষ হচ্ছে।
কিছুক্ষণ আগে খবর পেয়েছি, গাবতলীতে পুলিশের গুলিতে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের পেছনে যিনি মদদ যোগাচ্ছেন তিনি হচ্ছেন এই সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং তিনি শুধু নন, এর সঙ্গে তার প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তারা তাদের স্বার্থকে হাসিল করার জন্য এই ধরণের অরাজক একটা অবস্থা তৈরি করেছেন, সেটাতে জনগণ দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। আজকে গোটা দেশে সরকার বলতে কিছু আছে বলে মনে হয় না। আছে একটা দখলদার বাহিনীর মতো, জনগণের প্রতিনিধিত্বশালী কোনো সরকার নেই। সমগ্র দেশের মানুষ আজকে চরম অস্থিতিশীল ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এই সরকার শুধু তাদের ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থে আজ গোটা দেশকে ধ্বংস করে ফেলেছে। সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, পিলখানার ঘটনার দিনটি জাতির জন্য কলঙ্কময় দিন। জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার জন্য সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। একটি মহল যারা কখনো বাংলাদেশকে স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধশালী দেখতে চায় না, তারাই সুচতুরভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এই সরকার পিলখানার সেই বিদ্রোহ দমন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আমরা বলতে চাই, পিলখানায় যে ঘটনা ঘটেছে, ভবিষ্যতে তার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে ইনশাল্লাহ। এ দেশের মানুষ এটা করবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন-দলের নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল আলম চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ। এদিকে, এক বিবৃতিতে এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু বলেছেন, আকস্মিক পরিবহন ধর্মঘট দেশকে সম্পূর্ণভাবে জিম্মি করে ফেলেছে। এতে দেশবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এই পরিবহন সংগঠনগুলোর প্রধান নিয়ন্ত্রক সরকারেরই একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি জননিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর মদদে শ্রমিকদের ধর্মঘট : ফখরুল
![](https://www.rockinrioacademy.com/wp-content/uploads/2017/03/fakrul1-4.jpg)