বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে জেলে পাঠানো হলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে নির্বাচন দেওয়া হলে দেশের মানুষ এ নির্বাচন মেনে নেবে না এবং দেশপ্রেমিক কোনো দলও সে নির্বাচনে অংশ নেবে না।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সহায়ক সরকারের দাবি’-শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ফখরুল। বিএনপির মহাসচিব বলেন, ড. ইউনূস আমাদের গর্ব। সারা পৃথিবী তাকে সম্মান দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি তাকে ব্যক্তিগতভাবে শত্রু চিহ্নিত করেছেন। কারণ, লোকে বলে- পার্বত্য শান্তি চুক্তির জন্য নোবেল পুরস্কারটি নাকি আপনার প্রাপ্য ছিল। কিন্তু ড. ইউনূস বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছেন। সিইসি কেএম নুরুল হুদাকে ‘দলীয় ব্যক্তি’ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, নুরুল হুদা ছাত্ররাজনীতি করেছেন। পরে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে সরকারি চাকুরি হারিয়েছেন। চিহ্নিত একজন আওয়ামী লীগার হিসেবে তার নিজের পরিচয় আছে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এসবের সব প্রমাণ আছে। সেই মানুষটিই প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আজকে (বুধবার) শপথ নিয়েছেন।
নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বরাবরই অংশ নিয়েছি। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাব কি যাব না, সেটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে সেই সময় কোন ধরনের সরকার থাকছে এবং নির্বাচন কমিশনের কী ভূমিকা থাকে, তার উপর। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ক্ষমতাসীনদের বাধ্য করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে বাংলার মাটিতে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না। ২০ দলীয় জোট নির্বাচন চাই। জোটনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই নির্বাচনে যাবে ২০ দল। এতে আরো বক্তব্য রাখেন- জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ।