বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ শেখ হাসিনা মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক ফরিদ খান এর বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ১৬ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩ জনকে আসামি করে যৌতুক মামলা দায়ের করেন। মামলা নং -২৯৪/২০। বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বিরঙ্গল গ্রামের আব্দুর রশিদ খানের পুত্র মোঃ ফরিদ খান। ফরিদ খান মেহেন্দিগঞ্জ চাকুরী করার সুবাদে বরিশালের রুপাতলি ভাড়াটে বাসায় বসবাস করেন।
মামলা সুত্রে, ফরিদ খান গত ২৪ জুলাই তাহার একই গ্রামের শাহানাজ আক্তার নামের এক নারীকে ইসলামী শরিয়ত ও রেজিষ্ট্রি কাবিন মূলে বিবাহ করেন। বিবাহের পর থেকেই শাহানাজ তার স্বামী ফরিদ খান এর সাথে দাম্পত্য জীবন শুরু করে থাকেন। প্রায় ১৫ দিন ঘর সংশার করার পরই ফরিদ খান ও তাহার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা খারাপ আচারন শুরু করে থাকে। এক পর্যায়ে দালান ঘর উত্তোলনের জন্য ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা যৌতুক দাবী করেন। শাহনাজ যৌতুকের টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আসামীগণ যৌতুকের দাবিতে অটল থাকে এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। শাহানাজ তাহার অভিভাবক ও নিকটতম আত্মীয়স্বজনদের বিষয়টি জানালে তারা যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা আরো ক্ষিপ্ত হয়। ফরিদ খান ও তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে শাহনাজের পরিহিত স্বর্ণ অলংকার সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র রাখিয়া দিয়া তাহাকে তাদের বসত ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়। সাহানাজ তার পিত্রালয়ে আসিয়া বিস্তারিত জানালে অভিভাবকগণ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ফরিদ খানের সাথে যোগাযোগ করে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয়। অতঃপর দ্বিতীয় ঘটনার দিন ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে শাহনাজের পিতার বসতঘরে আসামিরা আসিলে তাদের আপ্যয়ন শেষে উপস্থিতি সাক্ষীগণের নিয়ে শাহনাজের সাথে ঘর সংসার করার জন্য ফরিদকে অনুরোধ করলে আসামি ফরিদ খান ও তার পিতা ও ভাই যৌতুকের টাকা না দিলে শাহনাজের সাথে সম্পর্কো রাখবে না সংসার করবেনা প্রয়োজনে তাকে তালাক দিবে। আসামীরা তাদের সঙ্গীয় লোকজন সহ বৈঠক হইতে চলিয়া যায়। অসহায় শাহানাজ তার পিতার বাড়িতে অতি কষ্টে দিন কাটায়, নিরুপায় হয়ে শাহানাজ বাদী হয়ে তার স্বামী ফরিদ খান সহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।