বাংলাদেশে জরুরি পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা কিভাবে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া যায় তা নিয়ে সরকার এক মহড়া দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ বিটিআরসি বলছে, সোমবার ঢাকায় বিকেল থেকে মঙ্গলবার ভোররাতের মধ্যে যে কোন সময় ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সিগন্যাল পাঠানোর বিটিএস নামের যন্ত্রগুলো আধঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেয়ার এই মহড়া চালানো হবে ।
ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে গুলশানের জঙ্গী হামলার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে সন্ত্রাসীরা যাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারে – সেকথা মাথায় রেখেই এই মহড়া দেয়া হচ্ছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বিবিসিকে বলেন, কিন্তু এরকম কোন সুনির্দিষ্ট ভাবনা থেকে তারা এ মহড়া দিচ্ছেন না। “তবে এধরনের পরিস্থিতিতে এই মহড়া কাজে লাগার কথা।“
“আমাদের ক্যাপাবিলিটি (সক্ষমতা) আছে, কিন্তু আমরা কত তাড়াতাড়ি এটা করতে পারবো, সেটাই পরীক্ষা করে দেখা হবে।“
গত ১লা জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার পর যে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সে সময় টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়।
জঙ্গিরা হামলা চালানোর পর ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের ছবি আপলোড করতে পেরেছিল।
হামলা-স্থলের পাশের এক বাড়ি থেকে একজন বিদেশিও সোশাল মিডিয়াতে ভিডিও আপলোড করেছিলেন যা নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছিল।
রাতে সন্ত্রাসবাদরোধে ইন্টারনেট বন্ধের মহড়া
![](https://www.rockinrioacademy.com/wp-content/uploads/2016/08/160705170730_gulshan_hostage_video_640x360_internet_nocredit-1.jpg)