আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

শেখ হাসিনা:বিএনপির এটা কী কমিটি

বিএনপির কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া এবং এতে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী নেতাদের পরিবারের সদস‌্যদের স্থান দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ‍তুলেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সোমবার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির কমিটি গঠনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি আরও বলেন,‘গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে স্বার্থান্বেষীদের জায়গা করে দিয়ে’ খালেদা জিয়া তার ‘নীতিহীনতার’ পরিচয় দিয়েছেন।

গত শনিবার চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনুমোদিত বিএনপির স্থায়ী কমিটি, ৭৩ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ ও ৫০২ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নতুন কমিটিতে জায়গা পেয়েছে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত প্রয়াত আব্দুল আলীমের ছেলে।

যুদ্ধাপরাধীদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “তার পরিবার ওই কাজই করে যাচ্ছে।

“যাদের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচার হয়েছে, ফাঁসি হয়ে গেছে তাদের (সন্তানদের) নিয়ে দল গঠন করে কমিটিতে স্থান দেয়। এ তো জাতির সাথে, ৩০ লাখ শহীদ, ২ লাখ মা-বোনের সাথে প্রতারণা করা ছাড়া কিছু না।”

জিয়ার আমলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত জামায়াত পরে খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রিত্বও পায়। ওই দুই মন্ত্রীর দণ্ড ইতোমধ‌্যে কার্য‌কর হয়েছে।

কাউন্সিলের সাড়ে চার মাস পর খালেদা জিয়ার কমিটি দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “কী কমিটি তারা গঠন করেছে? যাদের কোনো নিয়ম-নীতি নাই, সেটা কোন ধরনের দল?

“এটা মনে হয়, কতিপয় স্বার্থান্বেষীদের জায়গা করে দেওয়া। আর কিছু নয়।”

“এরা দেশকে কী দেবে? এদের গঠনতন্ত্র নাই, নীতিমালা নাই। লক্ষ্য একটাই ক্ষমতায় যাওয়া। লুটপাট কর, দুর্নীতি কর, এতিমের টাকা খেয়ে ফেল,” বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার মূল্যবোধ ধ্বংস করেছে। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধ করেছে। হত্যাকারীদের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছে।”

গণভবনে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিনে ‘শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণীয় : বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব‌্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের সময় নিজের মাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর পাশে ছায়ার মতো থেকে তাকে সাহায‌্য করার কথা বলেন মেয়ে শেখ হাসিনা।

স্মারক গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী।

জয়ীতা প্রকাশনীর মালিক ইয়াসিন কবির জয়ের পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে গ্রন্থটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে শতাধিক সংবাদচিত্র, যার বেশিরভাগই দুর্লভ। এছাড়া মুখবন্ধসহ নতুন-পুরোনো মিলিয়ে ১০টি লেখাও স্থান পেয়েছে বইটিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.