রাজধানীর সেগুনবাগিচার জাতীয় নাট্যশালায় সোমবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হবে দুটি নাটক। পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে প্রাচ্যনাট প্রযোজনা ‘কিনু কাহারের থেটার’। মনোজ মিত্রের লেখা এই নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। একই সময়ে স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে দৃষ্টিপাত নাট্যদলের প্রযোজনা ‘জ্বালা’। নাটকটি রচনা করেছেন ঋত্বিক ঘটক। নির্দেশনা দিয়েছেন অভিজিৎ সেন গুপ্ত।
সন্ধ্যায় শিল্পকলার মঞ্চে দুই নাটক
‘কিনু কাহারের থেটার’ নাটকের গল্পে দেখা যায়, পুতনা রাজ্যের উজির মহাশয় এক নারীর শ্লীলতাহানি করেছেন। বড়লাট রাজাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অপকর্মের বিচার না হলে রাজপাটই লাটে তুলে দেবেন। রাজা পড়েছেন বিষম সংকটে। উজির তো কেবল উজির নন, তার জানের দোস্ত। কেমন করে তার পৃষ্ঠদেশে চৌদ্দ ঘা চাবুক কশার নির্দেশ দেবেন। এ নিয়ে শুরু ‘কিনু কাহারের থেটার’ নাটকের কাহিনী।
অন্যদিকে ‘জ্বালা’ নাটকের কাহিনী গড়ে উঠেছে সমাজের কঠিন বাস্তবতাকে নিয়ে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অভাব- অনটন মানুষের জীবনকে করে তোলে বিষাদময়। দারিদ্র্যের কষাঘাতে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মানুষ হয়ে পড়ে যুক্তিহীন। ফলে যে কোনো সিদ্ধান্তে সে পৌঁছাতে পারে যে কোনো মুহূর্তে। মানুষের জীবনে এই সঙ্কটের সৃষ্টি হয় কেন? তারই উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, মানবগোষ্ঠী দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত। এক হলো শোষক, অন্যটি হলো শোষিত। এই শোষিত মানুষেরাই বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করছে নানা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে।