জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে দেওয়া সাক্ষ্য বাতিল চেয়ে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সোমবার তার পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন তার আইনজীবীরা।
বিচারপতি ফরিদ আহমদ ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে মঙ্গলবার এই আবেদনের উপর শুনানি হতে পারে।
খালেদার আইনজীবী জাকির হোসেন আবেদনের বিষয়ে জানান, এই মামলায় ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। এরপর আপিল বিভাগের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার পর বেগম খালেদা জিয়া আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু এ পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শপথ আইন অনুযায়ী যথাযথ হয়নি। তাই এই মামলার সাক্ষ্য বাতিলে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেছি। একইসঙ্গে আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রম স্থগিতাদেশও চেয়েছি।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)\হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব, বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।