আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে সরকারকে সংলাপে বসতে হবে : মির্জা ফখরুল

সুষ্ঠু নির্বাচন করতে গেলে অবশ্যই সরকারকে রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপে বসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সাথে সংলাপ হবে না- আওয়ামী লীগের সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একরকম বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
এসময় বিএনপির যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যালবার্ট পি কস্টা, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব, যুবদল নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, এসএম জাহাঙ্গীর, রফিকুল আলম মজনু, আ ক ম মোজাম্মেল হক, মাহবুবুল হাসান পিংকু ভূঁইয়াসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদ্য নির্বাচিত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তার উদ্যেম বেশি থাকার কথা। সম্ভবত সেজন্য তিনি আগাম এই বক্তব্য দিয়েছেন। বাংলাদেশের সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে গেলে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতামূলক পথ বের না করলে আগামী নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু ও অবাধ হবে না। সরকার যদি সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাহলে রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করতে হবে এর কোনো বিকল্প নেই।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে যদি জনগণের আশা-আকাংখা পুরণ করতে হয়, তবে অবশ্যই আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি অবাধ, একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যে সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করেই একটা সঠিক পথ বের করতে হবে। যে পথের মধ্য দিয়ে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং দলীয় প্রভাব ছাড়াই নির্বাচন করা সম্ভব হবে।
গুলশানের ইতালীয় নাগরিক তাভেল্লা সিজার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে র‌্যাব ও পুলিশের পরস্পর বিরোধী বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে সরকারের যে দোদুল্যমানতা, স্ববিরোধিতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিজেদের মধ্যে যে অসহযোগিতা-এটাই প্রমাণ করে বাংলাদেশে কোনো আইনের শাসন নেই। আমরা বরাবরই বলে এসেছি, এই সরকার নিজেরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করে এবং সেই সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে দমন করতে চায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.