জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে ভিত্তি করে নারীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মতায়নের মাধ্যমে নারীর অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিনির্ভর সহায়ক কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
গতকাল ঢাকায় স্থানীয় একটি হোটেলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি) আয়োজিত উইমেন অ্যান্ড আইসিটি ফ্রন্টিয়ার ইনিসিয়েটিভ (ওয়াইফাই) বাংলাদেশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নেবলেট, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবিরকিশোর চৌধুরী, ইউএনএপিসিআইসিটির পরিচালক ড. হাইউন সুকরি প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ ই-লাইব্রেরির সুবিধাযুক্ত বাস উদ্বোধন করেন।
স্পিকার বলেন, ডিজিটাল সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার তৃণমূলপর্যায়ে ইতোমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করেছে। এখান থেকে সাধারণ জনগণ সহজেই প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারছে। এ কারণে তাদের সময় এবং অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। বর্তমান সরকার ই-কমার্স ও ই-মার্কেটে দেশের নারী সমাজের সমতাকে যুক্ত করতে বিভিন্ন পদপে গ্রহণ করেছে যা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ঊর্ধ্বমুখী করবে।
স্পিকার বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত ও ধারাবাহিকতা রায় তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে নারী উদ্যোক্তাদের এ বিষয়ে প্রশিণের গুরুত্ব অপরিসীম। নারী উদ্যোক্তাদের নতুন ও সম্ভাব্য ব্যবসা সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ও মানব সম্পদের সমতা বৃদ্ধিতে উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক জাতিসঙ্ঘ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রশিণ কেন্দ্র (ইউএনএপিসিআইসিটি)/এসক্যাপ-বাংলাদেশ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ : জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে মেক্সিকোর সফররত রাষ্ট্রদূত মেলবা প্রিয়া সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের সংসদীয় কার্যক্রম, বাণিজ্য সুবিধা, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারী ও শিশুর সুরক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার সংসদ সদস্যদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এর মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্যিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।
রাষ্ট্রদূত ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১৩৬তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলিতে মেক্সিকোর অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করেন এবং অ্যাসেম্বলির সফল আয়োজনের জন্য স্পিকারের প্রশংসা করেন।