ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রয়ের বিধান-সংবলিত আইনের ধারা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রয়-সংক্রান্ত ধারা হাইকোর্টে স্থগিত
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ওয়াকফ আইনের ৪ এর (ক) ধারা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। আইন সচিব, ধর্মসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও ওয়াকফ প্রশাসককে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
পরে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ১৯৬২ সালের ওয়াকফ আইন অনুযায়ী ওয়াকফকৃত সম্পত্তি বিক্রয়ের কোনো বিধান ছিল না। এসব সম্পত্তি ওয়াকফকৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীরাই ভোগ করত। কিন্তু ২০১৩ সালের ওয়াকফ (সম্পত্তি হস্তান্তর ও উন্নয়ন) বিশেষ বিধান আইনের ৪ এর (ক) ধারায় ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রয়ের মাধ্যমে হস্তান্তরের বিধান যুক্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রয়ের এই বিধান সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই আইন বহাল থাকলে সমস্ত ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রয় হয়ে যাবে। মানুষ আর ওয়াকফ সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করবে না। আদালতের এই আদেশের ফলে ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রয় করার সুযোগ আপাতত বন্ধ হলো। ফলে দুর্নীতিবাজদের ছোবল থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবে ওয়াকফ সম্পদ।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, বরিশালের বিমানবন্দর থানার পরমজা গ্রামের অধিবাসী শাহ আলমের দাদা বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ওয়াকফ করে দিয়ে যান। সম্প্রতি সেই ওয়াকফ সম্পত্তির মুতুয়াল্লি ওয়াকফ প্রশাসকের কাছে এটা বিক্রয়ের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে।
প্রশাসক যে কোনো সময় এই সম্পত্তি বিক্রয়ের অনুমোদন দিতে পারেন। তাই তিনি তার সম্পত্তি বিক্রয়ের অনুমতি যাতে না দেওয়া হয় এবং যে ধারার মাধ্যমে সুযোগ তৈরি করা হয়েছে সেটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। সেই রিটের প্রেক্ষিতে আদালত বুধবার হাইকোর্ট এই আদেশ