আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

হাতকড়া পরিয়ে আদালতে ৩ শিশু

তিন শিশুকে হাতকড়া পরিয়ে গাজীপুর কিশোর-কিশোরী সংশোধন কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনে পুলিশ। ওই তিন শিশুর নাম রাকিব, আকাশ ও সোহেল।

নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে হাজিরা শেষে দুপুরে তাদের ট্রেনে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় গাজীপুর কিশোর-কিশোরী সংশোধন কেন্দ্রে।

যাদের হাজিরা করা হয়েছিল তারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার যাত্রামুড়া এলাকায় অবস্থিত জবেদা ট্রেক্সটাইলের শ্রমিক বলে জানা গেছে। তবে ওই তিন শিশুর নিরাপত্তায় থাকা চার পুলিশ সদস্য এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আদালত প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে এক পুলিশ সদস্য জানান, গাজীপুর থেকে ট্রেনে তাদের নারায়ণগঞ্জে আনা হয়। আবার ট্রেনেই গাজীপুরে নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ইদানিং প্রায়ই পুলিশ হেফাজত থেকে আসামি পালিয়ে যাচ্ছে। প্রিজন ভ্যান না থাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে।

মামলার এজাহারে সোহেলের বয়স ১০ বছর এবং রাকিব ও আকাশের বয়স ১২ বছর দেখানো হয়েছে। ২৪ জুলাই জবেদা ট্রেক্সটাইলে শিশু সহকর্মীকে কম্প্রেসার মেশিন দিয়ে মুখে ও পায়ুপথে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যার অভিযোগে রূপগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

অ্যাডভোকেট শাহ মাজহারুল হক মাজহার যুগান্তরকে জানান, শিশু আইনের ৪৪ ধারায় বলা হয়েছে- গ্রেফতারের পর কোনো শিশুকে হাতকড়া বা কোমরে দড়ি লাগানো যাবে না। আইন অনুযায়ী, যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে তারা সবাই শিশু হিসেবে গণ্য হয়।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর সোহেল আলম জানান, ‘আসামি জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনা নেয়ার জন্য প্রিজন ভ্যান রয়েছে। প্রিজন ভ্যান ব্যবহার করা জরুরী। শিশুদের ক্ষেত্রেও প্রিজনভ্যান ব্যবহার করতে হবে। তিন শিশুকে গাজীপুর কিশোর-কিশোরী সংশোধন কেন্দ্র থেকে কীভাবে নিয়ে আসা হয়েছে তা আমার জানা নেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.