আজ : ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News

হ্যাপি শাহাদতের গৃহকর্মী আমাকে কেউ নির্যাতন করে নাইঃ

ক্রিকেটার শাহাদত দম্পতির বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপি বলেছে, তাকে কেউ নির্যাতন করে নাই, বরং সে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছিল। পরে অন্যদের পরামর্শে সে মামলা করে।
বুধবার ওই মামলায় সাক্ষ্য দিতে গিয়ে ১১ বছরের হ্যাপি এই বক্তব্য তুলে ধরলে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী তাকে বৈরি সাক্ষী বলে ঘোষণা করে।
সে সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার একটি অনলাইন সংবাদপত্রের সাংবাদিক প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস।
তিনি বিবিসিকে জানান, হ্যাপি আদালতে বলেছে, আমি ক্রিকেটার শাহাদত হোসেনের বাসায় সাতমাস ধরে কাজ করেছি। কিন্তু আমার কাজ করতে ভালো লাগতো না। কেউ আমাকে গরম খুন্তির ছ্যাকা দেয়নি। আমি পড়ে গিয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছিলাম, এজন্য চিকিৎসা নেই। আমি আগে একজনের পরামর্শে মামলা করেছিলাম।

তখন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী জানতে চান, তাহলে কেন তিনি ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডাক্তারের কাছে জবানবন্দী দিয়েছেন।
এর জবাবে হ্যাপি বলেন, আমাকে কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করে নাই। আমি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডাক্তারের কাছে কিছু বলেছি কিনা, আমার খেয়াল নেই।
এরপরই রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী তাকে বৈরি সাক্ষী বলে ঘোষণা করে। অর্থাৎ সে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী নয়, বিপক্ষের সাক্ষী হিসাবে গণ্য হবে।
এদিন মোঃ সোহাগ নামে হ্যাপির একজন মামার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
সাংবাদিক প্রকাশ বিশ্বাস জানান, আদালতে ক্রিকেটার শাহাদত হোসেন ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান উপস্থিত ছিলেন। তবে মামলার বাদী খন্দকার মোজাম্মেল হক হাজির ছিলেন না।

গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তারকে নির্যাতনের অভিযোগে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন একজন সংবাদকর্মী খন্দকার মোজাম্মেল হক। ৩ অক্টোবর মালিবাগে বাবার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর দুদিন পর, ৫ অক্টোবর শাহাদত হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর এই মামলায় পুলিশি তদন্ত শেষে শাহাদত ও জেসমিন জাহানের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ পত্র দাখিল করে। এ বছর ৫ ফেব্রুয়ারি মামলার অভিযোগ পত্র গ্রহণ করে আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment moderation is enabled. Your comment may take some time to appear.